মোঃ সোহাগ (বিশেষ প্রতিনিধি): পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘূর্ণিঝড় রিমেলের প্রভাবে উপজেলার সকল নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি এবং বাতাসের গতিবেগ বেড়ে গিয়ে ওয়াপদা বেড়িবাঁধের বাইরে শতশত কাঁচা ঘর-বাড়ী বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। উপরে গেছে অসংখ্য গাছপালা। সোমবারও স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০/১২ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে এলাকার শতশত মালিকের মৎস্য ঘের থেকে ভেসে গেছে লাখ লাখ টাকার মাছ।
এদিকে, উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের নেওয়াপাড়া গ্রামে ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে অন্ততঃ পাঁচটি গ্রামে ঢুকে পড়েছে পানি। রবিবার রাতে বাতাসের গতিবেগ এবং নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছিল। এ রাতে অধিকাংশ মানুষ নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। তবে রবিবার দুপুর ২ টার দিকে উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের অনন্তপাড়া গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে মো. শরিফুল (২৭) ফুপুকে পার্শ্ববর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সময় জোয়ারের পানিতে হারিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
অপরদিকে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী অধ্যক্ষ মো.মুহিববুর রহমান এম,পি বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদান করছেন। উপজেলা প্রশাসনও শুকনা খাবার এবং প্রয়োজনীয় আশ্রয়ন সহ সকল প্রকার ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছেন।
আলোকিত/২৭/০৫/২০২৪/আকাশ