দাসখতের চুক্তি করে দেশকে ইন্ডিয়ার কলোনি বানানোর দিকে নিয়ে যাচ্ছে সরকার : হাসনাত কাইউম

0
263

ইমরান হোসেন (বিশেষ প্রতিনিধি) : ২৩ জুন ২০২৪ ঢাকা। ২৬৮ তম পলাশী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন আজ ২৩ জুন, ২০২৪ (রোববার), বিকাল ৫টায় রাজধানীর তোপখানাস্থ মেহেরবা প্লাজায় তাদের দলের প্রধান কার্যালয়ে ‘দখল-লুটপাট-পাচারের সেকাল ও একাল’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সমন্বয়ক এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম মামুনের সঞ্চালনায় এবং প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন দলের অর্থনৈতিক সমন্বয়ক দিদারুল ভুঁইয়া, রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক, জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান রিজু, জাকিয়া বেগম শিশির, ঢাকা জেলা সমন্বয়ক শাহাবুদ্দিন কবিরাজ লিটন, কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক অতিরিক্ত সচিব গোলাম শফিক, সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের সমন্বয়ক এএসএম ফয়েজ, গণফোরামের তথ্য বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ মধু প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে হাসনাত কাইয়ূম বলেন, ব্রিটিশদের লিগ্যাল সিস্টেম খুব ভালো লিগ্যাল সিস্টেম বলে যে বাহবা দেয়া হয়, সেটার মাধ্যমে আদতে কলোনিয়াল লিগ্যাল সিস্টেমকে বৈধতা দেয়া হয়। যেই লিগ্যাল সিস্টেম ছিলো আসলে কলোনি চালানোর প্রধানতম হাতিয়ার। এর মাধ্যমে এই হাতিয়ার আড়ালও করা হয়। তাদের লিগ্যাল সিস্টেমের লিখিত রূপ ‘ভারত শাসন আইন’ পাকিস্তানের সংবিধান হয়ে বাংলাদেশের ‘৭২ সালের সংবিধানের’ মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়। এই লিগ্যাল সিস্টেম ব্যবহার করেই এখানে আইনী পথে লুটপাট করা হয় এবং আইন ব্যবহার করেই পাচার করে। কলোনিয়াল সিস্টেম এখন একটা মাফিয়া সিস্টেমে পরিণত হয়েছে।
সভায় জাতীয় নির্বাহী ও সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, পলাশী দিবসকে সামনে রেখে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশের ১০ টা সমঝোতা স্মারকের নামে দেশবিরোধী দাসখতের চুক্তি করে দেশকে ইন্ডিয়ার কলোনি বানানোর দিকে নিয়ে যাচ্ছে এই অবৈধ ডামি সরকার। এদের এখনকার কলোনির মডেল হচ্ছে, ভূখন্ড, রাজনীতি এবং সম্পদের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা কিন্তু জনগণের সামান্যতম দায়িত্ব না নেয়া। পূর্ববর্তী কলোনি তাও জনগণের সামান্য হলেও দায়িত্ব নিতো কিন্তু এরা সেই দায়িত্বও তারা নিতে চায় না। সেটা দিয়ে রাখতে চায় তাদের গোলামদের হাতে। দাসখতের চুক্তি আবারও সেই আশংকা নতুনভাবে সামনে এনেছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এই অর্থবছরে ৭ লক্ষ কোটি টাকার বাজেট দেয়া হয়েছে। সেই বাজেটের প্রত্যেকটা টাকা যাবে জনগণের রক্ত পানি করা ট্যাক্সের পয়সায়। সেই বাজেটের মাধ্যমে এরা জনগণের টাকা একজায়গায় করা হবে, এর একটা বড় অংশ এরা বিভিন্ন প্রকল্পের নামে লুটপাট করবে, তার একটা বড় অংশ বিদেশে পাচার করবে। আর এসবই করতে পারছে বৃটিশ কলোনির রেখে যাওয়া রাষ্ট্র ব্যবস্থা, আইনকানুন ও ক্ষমতাকাঠামো ব্যবহার করে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কলোনিয়াল ক্ষমতাকাঠামোর সংস্কার না করতে পারলে এই লুটপাট চলতেই থাকবে। পলাশী দিবসের অঙ্গীকার হচ্ছে, এই রাষ্ট্র ব্যবস্থা সংস্কার করে মানুষের পক্ষে আনা। রাষ্ট্র সংস্কারের যে লড়াই শুরু হয়েছে সেই লড়াই এগিয়ে নিয়ে যাবে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য আদীল আমজাদ হোসেন, রাষ্ট্র সংস্কার শ্রমিক আন্দোলনের সহ-সভাপতি সোহেল শিকদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতা এহসান আহমেদ, ঢাকা জেলা নেতা সারওয়ার হোসেন, ইয়াকুব হোসেন প্রমুখ।
আলোকিত/২৩/০৬/২০২৪/আকাশ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here