নির্বাচিতকে বাদ দিয়ে উপজেলা আ.লীগের কমিটি গঠন, প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

0
184
নির্বাচিতকে বাদ দিয়ে উপজেলা আ.লীগের কমিটি গঠন, প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন
নির্বাচিতকে বাদ দিয়ে উপজেলা আ.লীগের কমিটি গঠন, প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

ইমরান হোসেন:

মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন এ কে এম আসানুল কবির। কিন্তু তাকে বাদ দিয়ে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী বেলায়েত হোসেন লিটন মাঝিকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়ে কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদ জানিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। ২৪ জুন সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবাদ জানান তারা। এ সময় এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার ৪৯৬ জন কাউন্সিলর ভোট দেন। এতে ৩২৮ ভোট পেয়ে হাফিজ আল আসাদ বারেক সভাপতি এবং এ কে এম আসানুল কবির ২৩৬ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমানের ছেলে গোলাম রাব্বানী শান্ত সাধারণ সম্পাদক পদে ১৩৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় এবং বেলায়েত হোসেন লিটন মাঝি ৬৯ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুসারে নবনির্বাচিত সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জেলা আওয়ামী লীগ বরাবর পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিতে বলেন। সেই মোতাবেক টঙ্গিবাড়ী উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখা বরাবর জমা দেওয়া হয়। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিতে নানান টালবাহানা ও সময় ক্ষেপনের মাধ্যমে দুই বছরেরও বেশি সময় অতিবাহিত করেন। পরে গত ২১ জুন শুক্রবার  সবার অগোচরে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আসানুল কবিরকে বাদ দিয়ে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী বেলায়েত হোসেন লিটন মাঝিকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি পকেট কমিটি ফেসবুকে প্রকাশ করে জেলা আওয়ামী লীগ।

সংবাদ সম্মেলনে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজ আল আসদ বারেক অভিযোগ করেন, আমাদের (সভাপতি-সম্পাদক) সুপারিশ করা ৭১ সদস্যের কমিটির মধ্যে অন্তত ৪০ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদককেই বাদ দেওয়া হয়েছে। একজন বাসার কাজের লোককে সহ-সভাপতি করা হয়েছে। যারা বিগত সময়ের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে কাজ করেছে কমিটিতে তাদের স্থান দেওয়া হয়েছে। আমরা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি। আমরা এই অগঠনতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাই। আমরা এর প্রতিকার চাই।

আলোকিত প্রতিদিন /২৪ জুন-২০২৪ /মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here