নুরুল ইসলাম:
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তির টাকার পরিশোধ করতে না পারায় মেহেরুন্নিছা (৩০) নামে এক গৃহিণী আত্মহত্যা করেছেন।
২৫ জুন মঙ্গলবার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোয়ালিয়া পাড়ায় নিজের বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ ।
মেহেরুন্নিছা ভোয়ালিয়া পাড়া এলাকার ৭নং ওয়াডের মো. আরিফুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি দুই ছেলের জননী। জানা যায়, নিহতের স্বামী মো. আরিফুল ইসলাম স্ত্রী মেহেরুন্নিছার মাধ্যমে বেসরকারি বিভিন্ন এনজিও সংস্থা ও পরিচিত অনেকের থেকে ঋণ গ্রহণ করেন। ঋণের কিস্তি পরিশোধের জন্য এনজিও কর্মীরা বাড়িতে এসে বসে থাকে তাঁর স্ত্রীকে ঋণ পরিশোধের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন এবং খারাপ ভাষায় গাল-মন্ধ ও অপমান করেন।
মেহেরুন্নিসার বড় ছেলে মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া মোহাম্মদুর রহমান (১১) জানায়, গত কয়েকমাস ধরে এনজিও কর্মীরা আমার আম্মুকে কিস্তির টাকা পরিশোধের জন্য বাসায় এসে বসে থাকে ও চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। অনেক সময় টাকা না পেয়ে অপমানও করে। কিন্তু বাবা গত ঈদ উল আযাহার পর থেকে বাড়ি আসছে না।
এলাকাবাসি আত্নীয়-সজনরা জানান, মঙ্গলবার সকালে একটি এনজিও থেকে কয়েকজন লোক এসে মেহেরুন্নিছাকে ঋণের টাকার জন্য খরাপ ভাষায় বিভিন্ন রকম (যা মোখদিয়ে বলার বাহিরে) অপমান করে।
এনজিওর লোকের অপমান সহ্য করতে না পেরে গৃহিণী মেহেরুন্নিছা ঘরের বিমের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যার করে। পরে স্হানীয় লোকের মাধ্যমে খবর পেয়ে সাতকানিয়া থানার পুলিশ ঘটনা স্থাল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, মেহেরুন্নিছার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন /২৬ জুন-২০২৪ /মওম