অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক সমন্বয়ক : দিদারুল ভুঁইয়া, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ইয়াসির জামান, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আহমেদ ইসহাক, গণকমিটির সংগঠক মামুনুর রশিদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নোয়াখালীর সংগঠক মো: শামসুদ্দিন শিপন পূর্ণ শেখ শামশির। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নফিউল ইসলাম।
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
রেলপথে দূরত্ব ভিত্তিক রেয়াত পুনর্বহাল দাবিতে রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির উদ্যোগে মাইজদী কোর্ট রেলস্টেশনের সামনে ২৬ জুন বুধবার নোয়াখালীতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন নোয়াখালী জেলা কমিটির সদস্য শান্ত ভুইয়ার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান বক্তা ছিলেন রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান।
তিনি বলেন- গত ৪ মে থেকে দূরত্ব ভিত্তিক রেয়াত বাতিল কার্যকর করা হয়েছে। রেয়াতি ব্যবস্থার কারণে দূরপাল্লার ট্রেনে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে ছাড় পেয়ে থাকতেন যাত্রীরা। এ ব্যবস্থায় ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ছাড়ের সুবিধা নেই। তবে ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরত্বের ভ্রমণে ভাড়ার ওপর রেয়াতের হার ২০-৩০ শতাংশ ছিল।
তিনি আরও বলেন, নোয়াখালী, ফেনীর যাত্রীরা ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জয়দেবপুর ঘুরে ঢাকা শহরে যেতে হয়। সেই কারণে বাড়তি সময় গেলেও সাথে বাড়তি ভাড়াও দিতে হত না। এখন রেলওয়ে সৃষ্ট ঘোরাপথের ৯০ কি.মি. এর ভাড়ার দায় মেটাতে হবে ফেনীর যাত্রীদের। অথচ রেলওয়ের কর্তারা ভাড়া বৃদ্ধির কথা অস্বীকার করছে।
এদিকে ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হতো। গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাৎ আলী রেলের ভাড়া বাড়ছে বলে জানিয়েছিলেন। সেসময় ভাড়া বৃদ্ধির গুঞ্জন ওঠার পর রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন- রেলের ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই।
এছাড়াও রেলমন্ত্রী বলেন, যখন রেয়াতি দেওয়া হয়েছিল, তখন তো রেলে প্যাসেঞ্জার চড়তো না। তখন রেয়াত দিয়ে যাত্রীদের আকর্ষণ করা হত। এখন তো ট্রেনে প্যাসেঞ্জার ওঠে, পর্যাপ্ত যাত্রী ওঠে ট্রেনে।
অন্যান্য বক্তারা জানান,রেলপথ ঢাকা থেকে দাউদকান্দি উপজেলা হয়ে লাকসাম প্রবেশ করলে এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের বর্তমান দূরত্ব ৩২১ কিমি থেকে ৯০ কিমি হ্রাস পাবে। অর্থাৎ এই রুটের দৈর্ঘ্য হবে ২৩১ কিমি। মানে এই অঞ্চলের যাত্রীদেরও বাড়তি ৯০ কি. মি. এর ভাড়া দিতে হবে। ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। যাত্রীদের রেলপথ ব্যবহারে উৎসাহিত করার জন্য এটি করা হয়। তারমানে এখন রেলপথে যাত্রীদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
আলোকিত প্রতিদিন /২৬ জুন-২০২৪ /মওম