গোহাইল স্কুল এন্ড কলেজে দুর্নীতির অভিযোগে নিয়োগ পরীক্ষা পন্ড

0
273
প্রতিনিধি,শাজহানপুর (বগুড়া) 
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার গোহাইল ইসলামিয়া উ”চ বিদ্যালয় ও কলেজে ৮ জন কর্মচারী নিয়োগে প্রতিষ্ঠানের সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ সংক্রান্ত একটি ‘কল রেকর্ড’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হওয়ায় নিয়োগ কমিটি থেকে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধিকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ফলে নিয়োগ পরীক্ষা পন্ড হয়ে গেছে। এছাড়া নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ তদন্ত করতে জেলা শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। অপরদিকে ফাঁস হওয়া ‘কল রেকর্ড’টি ভূঁয়া দাবি করে গতকাল বিকালে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গোহাইল ইসলামীয়া উ”চ বিদ্যালয়ে ০৯ জন কর্মচারী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে প্রায় দেড় কোটি টাকা উৎকোচ গ্রহন করেছে। এই নিয়োগ বাণিজ্যের কারণে এলাকায় অ¯ি’তিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। অত্র প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আলী ইমাম ইনোকী’র বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে টাকা আত্মসাত, গাছ বিক্রয়সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের কমিটির বিরুদ্ধে উ”চ আদালতে মামলা চলামান। অপরদিকে গোহাইল ইসলামিয়া উ”চ বিদ্যালয় ও কলেজের গভর্নিং বডি বিধি মোতাবেক নিয়োগ কমিটি গঠন পূর্বক গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় নিজ প্রতিষ্ঠানে কর্মচারি পদে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের যাবতীয় প্র¯‘তি সম্পন্ন করেছিল। কিš‘ নিয়োগ বনিজ্যের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে “অডিও কল রেকর্ড” ফাঁস হওয়ায় এবং জনৈক অভিভাবকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিয়োগ কমিটি থেকে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধিকে প্রত্যাহার করে নেয় বগুড়া জেলা প্রশাসন। এতে গতকাল শনিবার সকালে আয়োজিত নিয়োগ পরীক্ষা পন্ড হয়ে যায়। ফাঁস হওয়া ওই অডিও কল রেকর্ডটি মূলত: কলেজের সাবেক সভাপতি গোহাইল ইউপি চেয়ারম্যান আলী আতোয়ার তালুকদার ফজু এবং কলেজের অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেনের কথপোকথন। কথপোকথন থেকে জানা যায়, ৯টি পদে কর্মচারি নিয়োগে মোটা অংকের বানিজ্য করছেন কলেজের বর্তমান সভাপতি আলী ইমাম ইনোকী। এর মধ্যে ৩ জনের টাকা অধ্যক্ষের কাছে রয়েছে। ইতোপূর্বেও ওই কলেজে নিয়োগ বানিজ্য হয়েছে বলে ওই কথপোকথন থেকে জানা যায়। ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডের বিষয়টি আমলে নিয়ে তা তদন্তের জন্য বগুড়া জেলা শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। এ বিষয়কে জানতে চাইলে, বগুড়া জেলা শিক্ষা অফিসার মো. হযরত আলী বলেন, অভিযোগ তদন্তের চিঠি তিনি এখনও হাতে পাননি। তবে বিষয়টি তিনি অবহিত হয়েছেন। এ বিষয়ে যথাযথ তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তিনি প্রতিবেদন জমা দিবেন বলে জানান।
অপরদিকে ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডটি ভূঁয়া ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. মোতাহার হোসেন।‘শাজাহানপুর প্রতিদিন’ নামক একটি ফেইসবুক আইডি এবং গতকাল শনিবার ডিবিসি নিউজ নামের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে অধ্যক্ষের সাথে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সভাপতি গোহাইল ইউপি চেয়ারম্যান আলী আতোয়ার তালুকদার ফজু’র কথপোকথনের একটি তথাকথিত অডিও রেকর্ড প্রচার করা হয়। আলী ইমাম ইনোকী বলেন, তার বিরুদ্ধে তোলা নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। অপরদিকে প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি গোহাইল ইউপি চেয়ারম্যান আলী আতোয়ার তালুকদার ফজু জানিয়েছেন, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হওয়া অডিও কল রেকর্ডটি সত্য না মিথ্যা তা যাচাই করলেই জানা যাবে।
লোকিত প্রতিদিন/এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here