আলোকিত প্রতিবেদক-
কিশোরগঞ্জে চাঁদায় অসন্তুষ্ট হওয়ায় হাতি শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে আছাড় মারায় গুরুত্বর আহত হয়ে ওষুধ ব্যবসায়ীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছেন। মঙ্গলবার (২জুলাই) বিকেল ৩টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত মোঃ মাসুদুর রহমান মিস্টন (৪৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় হাতিসহ মাহুত রিয়াজুল মোল্লাকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ।আটক রিয়াজুল মোল্লা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মৃত আসমত মোল্লার ছেলে তিনি।
নিহত ফার্মেসী ব্যবসায়ী মোঃ মাসুদুর রহমান মিস্টন (৪৫) পাশ্ববর্তী ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার সিংরইল এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জ শহরের নগুয়া বাসায় থেকে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এআর ফার্মা নামে একটি ফার্মেসি নিয়ে ওষুধ ব্যবসা করতেন তিনি।
জানা গেছে,গতকাল সোমবার (১জুলাই) সন্ধ্যার দিকে জেলা শহরের নগুয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করছিল রিয়াজুল মোল্লা। তখন নিজ ফার্মেসীতে মাসুদুর রহমান মিস্টন হাতির আক্রমনের শিকার হন তিনি। এতে তিনি মারাত্মক আহত হলে প্রথমে তাঁকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে ভোর রাত সাড়েতিনটায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হসপিটালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বিকাল তিনটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মাসুদুর রহমান মিস্টন মিয়া।
তার এই অকাল মৃত্যুতে শোকার্ত পরিবারে নেমে এসেছে শোকের মাতম। পরিবারের লোকজন বার বার মূর্ছা যাচ্চেন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,গতকাল সন্ধায় জেলা শহরের নগুয়া বাসট্যান্ড এলাকায় নিজ ফার্মেসীতে বসে ছিলেন। তখন একটা হাতি তার ফার্মেসীতে গিয়ে টাকার জন্য শুঁড় এগিয়ে দিলে মাসুদুর রহমান ১০ টাকা দেন।কিন্তু এতে অসন্তুষ্ট হয়ে মাহুতের ইশারায় হাতিটি ক্ষিপ্ত হয়ে তার শুঁড় দিয়ে মাসুদুর রহমান কে তুলে ফার্মেসির সামনেই পাকা রাস্তায় সজোড়ে আছাড় মারে তখন। এসময় তিনি মাথায় গুরুত্বর আঘাত পান তিনি। স্থানীয় লোকজন দ্রুত উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান তকে।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তাফা ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,এই ঘটনায় হাতি ও হাতির মাহুতকে আটক করা হয়েছে এবং থানা হেফাজতে আছেন।অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, শেরপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ.ন.ম. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে হাতি পালনের নিয়ম রয়েছে।তবে হাতি দিয়ে টাকা তোলা বা চাঁদাবাজির কোনো নিয়ম নেই।এগুলো স্থানীয় প্রশাসন দেখে দমন করবে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি
