জানা গেছে, তার সফিজল ও রফিজল নামে দুই ছেলে এবং জাহানারা ও ঝড়িনা নামে দুই মেয়ে রয়েছে তার। দৌলতখান থানা পুলিশ ওই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. রায়হান ও মো. হারুন জানান, জবেদা খাতুনের ছেলে রফিজলের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই রফিকের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ভিটেবাড়ির জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে জবেদা খাতুন মারা গেলে তাকে রফিকের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতে গেলে তারা তখন বাধা দেন। এলাকাবাসী ও মৃতের স্বজনেরা অনুরোধ জানালেও রফিক ও তার পরিবারের সদস্যরা কোন কথা শোনেননি। পরে গতকাল বুধবার তার ছেলেরা কোনো জায়গা না পেয়ে ঘরের বারান্দা মাটি খুঁড়ে মেঝেতেই দাফন করেন তার ছেলে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।
এদিকে ঘটনা জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার বিকালেই কবরটিকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন রফিকসহ তার পরিবার এবং মৃতের সন্তানদের চাপ দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রফিজল বলেন, মা মারা যাওয়ার পর দাফনের জন্য একটু জমি খুঁজছি, কেউ দেয় নাই জমি। আর সাড়ে ৩ হাত জমির জন্য মারে কবর দিতে পারি নাই এটা বড় কষ্টের, এহন আবার কবর তুলতে কয়। আমরা গরিব মানুষ কই যামু, মার কবর তুলমু না আমরা।
এ ব্যাপারে রফিকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে না পেয়ে তার বাবা খোরশেদ সরদারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বাড়ির সকল জমি তাদের। এ বাড়িতে অন্য কারো জমি নেই সব আমাদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সত্য রঞ্জন খাসকেল বলেন, জবেদা খাতুন নামে এক বৃদ্ধার কবর ঘরের মেঝেতে দেওয়া হয়েছে শুনে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অনেকেই কবরটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলছেন, যদি তার ছেলে ও পরিবার মনে করে কবরটি সরিয়ে নেওয়া হোক তাহলে নেবেন, আর যদি না চান কবর এখানেই থাকবে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি