আ:লীগের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করাই বড় চ্যালেঞ্জ: মির্জা আব্বাস!

0
170
ইমরান হোসেন : বিশেষ প্রতিনিধি
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য,সাবেক মেয়র,সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস বলেন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকলে পুরো দেশ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ জাতিকে এবং দেশকে অসুস্থতা থেকে মুক্ত করতে হবে।
মির্জা আব্বাস আরো বলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হাত থেকে দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। আজ শনিবার ১৩ জুলাই দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতাদের সঙ্গে নিয়ে মাজার জিয়ারত করতে যান মির্জা আব্বাস। এসময় সমবেত নেতাকর্মীদের তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার আন্দোলন সফল করার শপথবাক্যও পাঠ করান। মির্জা আব্বাস বলেন  আওয়ামীলীগের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
দীর্ঘদিন পর জিয়াউর রহমানের মাজারে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির বিগত কমিটির নেতা,বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মী ছাড়াও মহানগর ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলে কয়েক হাজার নেতাকর্মী জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান। এ সময় নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে মুখোরিত করেন মাজার প্রাঙ্গন। সবচেয়ে লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে নব্বই দশকের বেশ কিছু সাবেক ছাত্রদল নেতা বিশাল এক মিছিল নিয়ে নবগঠিত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক সাইফুল আলম নীরব ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের নামে স্লোগান দিতে দিতে মাজার প্রঙ্গনে প্রবেশ করে। এতোদিন যারা গ্রুপিং কিংবা পদায়ন না হওয়ায় অভিমান করে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিলো। উল্লেখযোগ্য সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নুরুন্নবী চৌধুরী,ভিপি হানিফ, ভিপি শামীম পারভেজ,আব্দুল্লাহ হীল বাকী,মনিরুল আলম রাহিমী,মাহাবুবুল আলম শাহীন,বিল্লাল চেয়ারম্যান,আলহাজ্ব এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।
বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা,সদ্য বিলুপ্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল,যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপির নব নির্বাচিত যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবীন,নবনির্বাচিত যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী প্রমুখ।
স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা সবাই মিলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছি। সবাই শপথ নিয়েছে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকলে পুরো দেশ অসুস্থ হয়ে যায়। তিনি এখন মারাত্মক অসুস্থ। আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেন বেগম খালেদা জিয়াকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন। দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে গিয়ে যা করা দরকার মহানগর বিএনপি নেতারা আগামীতে তা করবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা আব্বাস  বলেন, কোটা সংস্কারের আন্দোলন যৌক্তিক ও ন্যায্য। বিএনপি সমর্থন দিয়েছে বলেই আসল বিষয় টি ধামাচাপা দিতে চায়। এটা তাদের অপকৌশল। আমরা আশংকা করছি এই আন্দোলনের ফাঁক দিয়ে সরকার কোন অপকর্ম বা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে কিনা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয়নি। বরং সরকার আন্দোলন নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র করেছে। অনেক নেতাকর্মী দলে দলে কারাগারে গেছেন। আবার বের হচ্ছে আবার জেলে যাচ্ছে। মিথ্যা মামলায় জর্জরিত। অনেকেই গুলি খেয়েছেন। সুতরাং আন্দোলন ব্যর্থ হয়নি।
বিএনপির সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ক? এমন প্রশ্নের উত্তরে মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশে গণতন্ত্র স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব কিছুই থাকবে না। সুতরাং এ হায়েনা সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। উল্লেখ্য যে, গত ৭ জুলাই ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির দুই সদস্যের নতুন আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে বিএনপি।
ঢাকা মহানগর উত্তরে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব কে আহ্বায়ক ও বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ফুটবলার আমিনুল হক কে সদস্য সচিব এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণে সাবেক সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু কে আহ্বায়ক ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর আহমেদ রবিন কে সদস্য সচিব করা হয়।
লোকিত প্রতিদিন/এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here