আমার বাসায় পিয়ন ছিল, সেও নাকি এখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক!

0
306
বিশেষ, প্রতিনিধি-

দুর্নীতি ধরা হচ্ছে বলে সবই আপনারা জানতে পারছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যখন হাত দিয়েছি আমি, তখন আমি কাউকে ছাড়ব না। দুর্নীতিবাজ ধরছি বলেই, এখন সবাই জানতে পারছেন।

রবিবার (১৪ জুলাই) বিকেলে চীন সফর নিয়ে গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

খোঁজ-খবর নেওয়া হয়েছে। এটা বাস্তব কথা। কী করে বানালো এই টাকা। যখন আমি জানছি, তাকে বাদ দিয়ে কার্ড সিজ করে আমি ব্যবস্থা নিয়েছি তখনি।

তিনি বলেন, ‘সারাবিশ্বেই যে দেশটায় অর্থনীতিতে উন্নতি হয়, সেখানেই এ ধরনের কিছু অনিয়ম হয়। কিছু লোকের হাতে চলে যায় কিছু টাকা-পয়সা বানায়। তারা তো অপেক্ষা করে থাকে। যুগযুগ ধরে এভাবেই চলে আসছে।

 

প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়ার আমলে প্রশ্ন ফাঁস শুরু হয়েছিল। খালেদার আমলে সেটা চলেছে। আমরা এটা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছি এবং প্রশ্ন ফাঁস রোধে সফল হয়েছি আমরা।

আমরা প্রশ্ন ফাঁস রোধে সফল হয়েছি : প্রধানমন্ত্রী

এক সময় হাওয়া ভবন থেকে পাঠানো তালিকায় বিসিএসে চাকরি হতো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে কোনো পরীক্ষা হতো না। হাওয়া ভবনের তালিকা অনুযায়ী বিসিএস ক্যাডার হতো।

 

চলমান কোটা আন্দোলন নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আদালত থেকে সমাধান না আসবে ততক্ষণ আমাদের কিছু করার থাকে না। এই বাস্তবতা তাদের মানতে হবে। আর যদি না মানে তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। রাজপথে আন্দোলন করছে, আন্দোলন করতেই থাকবে। তবে কোনো ধ্বংসাত্মক কাজ করতে পারবে না তারা। যতক্ষণ তারা শান্তিপূর্ণভবে আন্দোলন করছে ততক্ষণ কেউ কিছু বলছেও না।

কোটা নিয়ে ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে খুব বিরক্ত হয়ে কোটা বাতিলের কথা বলেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অফিসে আক্রমণ, মানুষের ওপর আঘাত—এসব দেখে আমি আমি খুব বিরক্ত হয়ে যাই। তখন এক পর্যায়ে বলি কোটা বাদ দিলাম আমি।

কোটা বহাল রাখা হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

কোটা বন্ধ করার আজকে ফলাফলটা কী দাঁড়াল, প্রশ্ন রেখে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘কোটা বাতিলের উদ্দেশ্যটা ছিল—আগে দেখ কোটা বাদ দিলে অবস্থাটা কী হয়। এখনো কী অবস্থা হয়েছে সেটা দেখতে বেশিদূর যাওয়া লাগবে না। এবারই দেখেন, ফরেন সার্ভিসে মাত্র দুই জন মেয়ে চাকরি পেয়েছেন। আর পুলিশ সার্ভিসে চার জন মেয়ে চান্স পেয়েছেন। কোটা বন্ধ করে দেওয়ার পরে ২৩টি জেলা থেকে একজনও পুলিশে চাকরি পাননি বলে তিনি জানান।

আমাদের দেশের সব এলাকা সমানভাবে উন্নত নয়। কোনো কোনো এলাকায় অনগ্রসর সম্প্রদায়ও আছে। সেইসব এলাকার মানুষের কি কোনো অধিকার থাকবে না, প্রশ্ন রাখেন প্রধানমন্ত্রী।

লোকিত প্রতিদিন/এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here