এতে ছাত্ররা আবার কোটা আন্দোলন শুরু করে। তখন সরকার পক্ষ থেকে এই রায়ের বিরুদ্ধে অবজারবেশন করি।এরপর বিচারপতি সর্বোচ্চ আদালত থেকে ফুল বেঞ্চ বসে এই কোটাকে সংস্কার করে ৭পার্সেন্ট রায় ঘোষণা করলেন। তার মধ্যে ৫ পার্সেন্ট মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এক পার্সেন্ট ক্ষুদ্র নৃগোষ্টিদের, ১পার্সেন্ট প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য।ছাত্রদের মূল দাবি পূরণ হয়েছে। অন্য সব দাবি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিশন কাজ শুরু করেছে। কিন্তু দাবি পূরণের পর ধন্যবাদ না দিয়ে অন্যান্য দাবি নিয়ে ছাত্ররা আবার আল্টিমেটাম দিচ্ছে।এই কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে, যারা বাংলাদেশ চাইনি তারা সবগুলো দল একত্রীত হয়ে এই ধ্বংস লীলা চালিয়েছে। এই আন্দোলনে তারা মুক্তিযোদ্ধার মুরালটাও তারা ভেঙ্গে দিয়েছে। আমি ছাত্রদের পড়াশোনার টেবিলে বসার আহ্বান জানাই।’মন্ত্রী ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন ছাত্রদের দাবী মেনে নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তাদের অন্যান্য দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে এগুলোর বিবেচনা করবেন।
আন্দোলনে সুযোগে সারাদেশে হামলা ও ভাংচুর বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, দলীয় কার্যালয়, সরকারি স্থাপনা সেখানেই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালানো হয়েছে।মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে, বিটিভি ভবন সহ বিভিন্ন সরকারি ভবন,বিভিন্ন থানায় হামলা চালিয়েছে।তারা কখনোই এই দেশ স্বাধীন চায়নি। আপনারা দেখেছেন যে, নরসিংদিতে জেলখানায় যেখানে আমরা জঙ্গিদের আটকে রেখেছিলাম সেখান থেকে তারা গেইট ভেঙ্গে জঙ্গীদের বের করে নিয়ে গেছে। আসলে তারা চেয়েছিল দেশকে কিভাবে আতঙ্কিত করা যায়, দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাওয়া দেশকে কিভাবে স্তব্দ করা যায়, মুক্তিযোদ্ধার চেতনাকে কিভাবে নসসাৎ করা যায় তারা সেটাই চেয়েছিল। এসব ঘটনার সাথে জড়িতরা কোনোভাবেই ছাড় পাবে না, বিচার হবে।
কারফিউ’র বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন,‘সেনাবাহিনী মাঠে নামানোর পর ধীরে ধীরে পরিবেশ স্বাভাবিক হচ্ছে। যখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হবে তখনই কারফিউ প্রত্যাহার করা হবে।’ আন্দোলনের প্রথম দিন থেকে শুরু করে আজ দুপুর পর্যন্তও বগুড়ায় কোন আওয়ামী লীগের নেতাদের কেনো দেখা যায়নি সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমি বলতে পারবোনা। এর জবাব বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দেবেন আপনারা তাদের কাছে থেকেই জেনে নেবেন।
সভায় পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবুর রহমান মজনু এমপি, সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু এমপি, বগুড়া-১ আসনের এমপি সাহাদারা মান্নান, বগুড়া-৭ আসনের এমপি ডা. মোস্তফা আলম নান্নু, রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি আনিসুর রহমান, বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার জাকির হাসানসহ পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসারসহ আইনশঙ্খলাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার সরকারি কর্মকর্তারা অংশ নেন।
এর আগে, সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্থ জেলা আওয়ামী লীগ, জাসদ, মুজিব মঞ্চ, পুলিশ ক্যাম্প, রেলওয়ে স্টেশন, সদর উপজেলা ভূমি অফিস, টাউন ক্লাব পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।