রানা ইস্কান্দার রহমান:
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াতের ৭৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ২৭ জুলাই শনিবার গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মী এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। এতে অন্তত ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন ৭৮ জনের বেশি মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১৭ জুলাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা জেলা শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ১নম্বর রেলগেটে অবস্থান নেয়। এ সময় আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে উত্তেজিত হয়ে ওঠে তারা। তখন দফায় দফায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ এবং ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ ঘটনায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০০-৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। এতে শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিকসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। পরে উত্তেজিত শিক্ষার্ধীদের সঙ্গে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা একত্রিত হয়ে আওয়ামী লীগ অফিসে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে জেলা বিএনপির অফিস ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে নেতা-কর্মীরা। জামায়াতের নেতাসহ কর্মীদের ধরপাকড় অব্যাহত এরপর ১৯ জুলাই দলীয় কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ছাকা বাদী হয়ে ৭০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০০-২৫০ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা করেন। একই দিন শহরের রেলস্টেশনে হামলা ও ভাংচুর করে আন্দোলনকারীরা। এ ঘটনায় রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ১৫০-২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি নাশকতার মামলা করে রেলওয়ে পুলিশ।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, নাশকতার মামলায় এখন পর্যন্ত ৭৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন /২৮ জুলাই-২০২৪ /মওম
