আলোকিত ডেস্ক-
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে আগামীকাল মঙ্গলবার সারা দেশে শোক পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তবে রাষ্ট্রীয় শোককে প্রত্যাখ্যান করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর পরিবর্তে আগামীকাল তারা চোখে-মুখে লাল কাপড় বেঁধে ছবি তুলে অনলাইনে প্রচার কর্মসূচি পালন করবে তারা। সোমবার সংগঠনটির মো. মাহিন সরকারের নামে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি ঘোষনা করা হয় বলে তারা জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমাদের আহবানে সাড়া দিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, নোয়াখালী, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, যশোর, ঠাকুরগাঁওসহ সারাদেশব্যপী সোমবার কর্মসূচি বিক্ষোভ ও ছাত্রসমাবেশ সফল করার জন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি আমরা। একই সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবিসমূহের সাথে সংহতি প্রকাশ করার জন্য শিক্ষক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী, শ্রমজীবী ও গণ-মানুষের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই।
এতে আরো বলা হয়, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশজুড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবীকে কেন্দ্র করে নির্বিচারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে শত শত শিক্ষার্থীর মৃত্যু ও হাজার হাজার ছাত্র-জনতা আহত হয়ে যখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে তখনও শিক্ষার্থীদের দাবী মেনে না নিয়ে একাত্তরের হানাদার বাহিনীর মতো মধ্য রাতে বাসা বাড়িতে রেইড এলাটের মাধ্যমে নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের তুলে নিয়ে রিমান্ডের নামে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বর নির্যাতন চালানো হচ্ছে।
সকলেই একক বা ঐক্যবদ্ধভাবে লাল কাপড় মুখে ও চোখে বেঁধে ছবি তুলা এবং অনলাইনে প্রচার কর্মসূচি পালনের আহবান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল, মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও দেশের আপামর জনসাধারণের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি, একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে আপনারা মঙ্গলবারের কর্মসূচি সফলে সহযোগিতা করুন।
বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের উদ্দেশ্যে বলা হয়, ছাত্রসমাজের বুকে গুলি চালিয়ে বাংলার ইতিহাসে কোনো আন্দোলন দমন করা যায়নি এবং যাবেও না। অবিলম্বে ছাত্রসমাজের নয় দফা দাবি মেনে নিয়ে দেশকে স্থিতিশীল করুন। বিজ্ঞপ্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবি উল্লেখ করে বলা হয়, আমরা সারাদেশের শিক্ষক, পেশাজীবী, শ্রমজীবী ও সকল নাগরিককে আমাদের কর্মসূচি পালনে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও আমাদের দাবী আদায়ের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করতে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি