মোঃ ফরহাদ রেজা (দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি): জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ীতে শোকরানা সমাবেশ ও গণমিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার সানন্দবাড়ি কলেজ প্রাঙ্গণে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে সানন্দবাড়ি বাজারে গণমিছিল করে দলটির নেতা-কর্মীরা। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে এক দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার ঘটনা উপলক্ষে এ কর্মসূচি পালন করে দলটি।
চর আমখাওয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাও. আ. মজিদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাও. কাজী আতিকুর রহমান, সহ. সেক্রেটারি মো. ইসমাইল হোসেন, চর আমখাওয়া ইউনিয়ন সেক্রেটারি মাও. রেজাউল করিম, সানন্দবাড়ি কলেজের অধ্যাপক মো. নুর উদ্দীন, ইসলামি ছাত্র শিবিরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা সভাপতি হাসান মাহমুদ, সানন্দবাড়ি সাংগঠনিক থানা সভাপতি মো. মতিউর রহমান, সেক্রেটারি নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে গিয়ে সরকার নিজেই নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। বিগত ১৫ বছরে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীর উপর ব্যাপক জুলুম নির্যাতন চালানো হয়েছে। এমনকি কথিত আয়না ঘরে বন্দি হয়ে অমানবিক অত্যাচারের শিকার হয়েছেন জামায়াত নেতৃবৃন্দের অনেকেই। স্বৈরাচার জুলুমবাজ খুনি হাসিনার পতনে বাংলাদেশ নতুন করে আবার স্বাধীন হলো। এই স্বাধীনতাকে আমাদের ধরে রাখতে হবে । রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট, নৈরাজ্য সৃষ্টি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়িতে হামলা, মন্দির-গীর্জা ভাংচুরের মতো কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এ ব্যাপারে সবসময়ই সচেতন থাকবে ইনশাআল্লাহ।
বক্তারা আরো বলেন, এই বিজয় ছাত্রজনতার। ছাত্রজনতা এগিয়ে আসায় স্বৈরাচারী সরকারের পতন সম্ভব হয়েছে। দেশ অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়েছে। ছাত্রজনতার রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছিল বলেই আমরা এই বিজয় পেয়েছি। শহীদদের আত্মত্যাগ ভুলা যাবে না। এই বিজয়ে আমরা মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি।
উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরপর তেমন প্রকাশ্য কর্মসূচিতে দেখা যায়নি দলটিকে। অনেক বছর পর প্রকাশ্যে এ কর্মসূচি পালন করতে পেরে উৎফুল্ল নেতাকর্মীদের মনে আনন্দের অনুভূতি পরিলক্ষিত হয়।
আলোকিত/০৯/০৮/২০২৪/আকাশ