দ্বীন মোহাম্মাদ দুখু:
৮ম বছরে পা রাখছে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের সাহসী দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন। এই অভিযাত্রা কালের বিবেচনায় হয়তো দীর্ঘ পথ নয়। তবে গণমাধ্যমের জন্য এই পথ-পরিক্রমার সময়টি ছিল বেশ কঠিন। এ সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অবাধ তথ্যপ্রবাহের দাপট, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জটিল পরিস্থিতি অতঃপর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনসহ বিভিন্ন সংবাদ পরিবেশন, সাংবাদিক হতাহতের ঘটনা আলোকিত প্রতিদিনকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিল।
এমনিতেই গণমাধ্যমের বিকাশ ও অগ্রযাত্রা গণতন্ত্র চর্চার নিরবচ্ছিন্ন পরিবেশের ওপর নির্ভর করে। সেই পরিবেশ পৃথিবীর দেশে দেশে গত ৭ বছরে বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশ এর ব্যতিক্রম নয়। মুক্ত সাংবাদিকতা এখানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো কিছু কালাকানুনের কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আর্থ-রাজনৈতিক পরিবেশের দাপটীরাও কায়েমি স্বার্থের কারণে গণমাধ্যমের অবাধ তথ্যপ্রবাহকে নিয়ন্ত্রিত করতে চেয়েছে।
এসবের মোকাবেলা করেই বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে সত্য প্রকাশের অঙ্গীকারকে এগিয়ে নিতে হয়েছে। আলোকিত প্রতিদিন বরাবরই এই অঙ্গীকারের প্রতি ছিল অবিচল। সংবাদপত্রের জন্য অপরিহার্য বিজ্ঞাপন প্রাপ্তি তুলনামূলক কমে যাওয়া এবং নিউজপ্রিন্টের মতো মুদ্রণ উপকরণের দাম বাড়ার কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়াসহ নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে পথচলা অব্যাহত রেখেছেন আলোকিত প্রতিদিনের সাংবাদিক-কর্মীবৃন্দ।
চলার এই পথে আলোকিত প্রতিদিনের পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা, বিপণনকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের অকুণ্ঠ সমর্থন বৈরী অবস্থাকে জয় করে সত্যের প্রতি অঙ্গীকার রক্ষায় সাহায্য করেছে। আলোকিত প্রতিদিনের অঙ্গীকার এ দেশের মাটি মানুষ সার্বভৌমত্ব নিরাপত্তা ও সার্বজনীন বিশ্বাসের প্রতি। একই সাথে পরম করুণাময়ের প্রতি বিশ্বাসকে ধারণ করে লক্ষ্যপানে এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আস্থাশীল।