থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা শপথ নিলেন

0
198
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা শপথ নিলেন
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা শপথ নিলেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। তাকে এই পদে অনুমোদন দিয়ে রাজকীয় স্বাক্ষরের পর ১৮ আগস্ট রবিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি। তিনি থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী  এবং ধনকুবের থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে। এর আগে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির পার্লামেন্ট। ১৯ আগস্ট সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পার্লামেন্ট নির্বাচিত হওয়ার দুদিন পর থাইল্যান্ডের রাজা পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনুমোদন করেছেন। থাইল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রবিবার শপথ নেন ৩৭ বছর বয়সী পেতংতার্ন। এর পূর্বে পেতংতার্নের ফুফু ইংলাক সিনাওয়াত্রা থাইল্যান্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত বুধবার থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্রেথা থাভিসিনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার দু’দিন পর পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। তাদের দুজনেই ফেউ থাই পার্টির নেতা। ২০২৩ সালের নির্বাচনে ফেউ থাই পার্টি দ্বিতীয় হয়েছিল এবং ক্ষমতাসীন জোট গঠন করেছিল। পেতংতার্ন এখন থাইল্যান্ডের স্থবির অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার মতো কঠিন কাজের মুখোমুখি হয়েছেন। সামরিক অভ্যুত্থান সামাল দেওয়া এবং আদালতের হস্তক্ষেপ এড়িয়ে টিকে থাকাটাও তার জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জের বিষয় হবে। গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হওয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বলেন, ‘আমি সত্যিই আশা করি, আমি মানুষের মাঝে আত্মবিশ্বাস পুনঃস্থাপন করে দিতে পারবো–সকল থাই জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে আমরা সুযোগ তৈরি করতে পারি।’

পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে পেতংতার্নের পক্ষে ৩১৯টি ভোট পড়ে। আর বিপক্ষে ভোট পড়ে ১৪৫টি ভোট। পেতংতার্ন হলেন গত দুই দশকে সিনাওয়াত্রা পরিবার থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া চতুর্থ ব্যক্তি। অবশ্য তার বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা এবং ফুপু ইংলাক সিনাওয়াত্রাসহ অপর তিনজন সামরিক অভ্যুত্থান বা সাংবিধানিক আদালতের রায়ে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, থাইল্যান্ডের স্কুল এবং যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন পেতংতার্ন। সিনাওয়াত্রা পরিবারের মালিকানাধীন রেন্ডে হোটেল শিল্প গোষ্ঠীতে কয়েক বছর কাজ করেছেন তিনি। তার স্বামী ওই শিল্প গোষ্ঠীর উপ-প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন।

২০২১ সালে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা ফেউ থাই পার্টিতে যোগ দেন এবং ২০২৩ সালের অক্টোবরে দলের নেতা হিসাবে নিযুক্ত হন। তার এই নিয়োগ থাইল্যান্ডের শীর্ষ নেতৃত্বে নতুন শক্তি এনেছে।

আলোকিত প্রতিদিন /১৯ আগস্ট-২০২৪ /মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here