মোঃ শাহারিয়ার হোসেন :
সম্প্রতি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বাংলাদেশের স্বর্ণ সূত্র বা সোনালী আস নামে খ্যাত সেই পাটের আশানুরূপ ফলন হয়েছে।
উপজেলায় বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে পাট কাটা, প্রায় শেষের পথে। বিভিন্ন সময় বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা বাড়ির আশে পাশে নালা, ছোট গর্তসহ যেখানে সেখানে পাট পচানোর কাজ সম্পন্ন করছেন।
উপজেলার খোলাবাড়িয়া গ্রামের বর্গা চাষী আসাদ মোল্লা জানান আমি গত বছর প্রায় ৫০ মন পাট পেয়েছিলাম দাম কম থাকায় গচ্চা দিতে হয়েছিলো এবার গত বছরের তুলনায় কম জমি চাষ করে ভালো উৎপাদন হয়েছে এবং দাম ও ভালো এ বছর প্রায় ৪৫ মন পাট পাবো।
এ ছাড়া একই গ্রামের বর্গা চাষী চাঁন মিয়া ও তাঁরা মিয়া, প্রায় ১শ মন, পাড়া গ্রামের যহুর মোল্লা ৫০ মন, ইলিয়াস মোল্লা ১শ ৫০মন, রমজান ৭৫ মন, আমজাদ ১শ ৫০ মন,এ ছাড়া শিয়ালদির সুলাইমান ১শ ৫০ মন, মনা মিয়া ১শ ২০ মন, দেলোয়ার ৫০ মনসহ আরো অনেকেই পাটের চাষ করেছেন।
উপজেলার খোলাবাড়িয়া গ্রামের পাট ব্যবসায়ী লুৎফার রহমান জানান বর্তমানে পাটের মূল্য ২২শ টাকা থেকে ৩৫শ টাকা দরে পাট বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পাট ব্যবসায়ী ছানোয়ার শেখ ও একই কথা বলেলেন।
ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভা নিয়ে গঠিত এ উপজেলার বেশিরভাগ এলাকায় পাটের চাষ করা হয়ে থাকে।
উপজেলার পবনবেগ মালো পাড়ার সামনের রাস্তায় গিয়ে দেখা যায় গ্রামীণ নারীরা পাট কাঠি ছাড়ানোর কাজে ব্যাস্ত সময় পারকরছেন।
উপ সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. রেজওয়ান ইসলাম জানান, এ উপজেলা ২৫৮৫ জন কৃষকের মধ্যে প্রতিজনকে ১ কেজি করে পাট উন্নত জাতের পাটবীজ ও ১২ কেজি করে ইউরিয়া, টিএসপি ও এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান এ বছর এ উপজেলা পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। তা ছাড়া খরচ অনুসারে বিগত বছরের তুলনায় পাটের দাম ভালো হওয়ায় আগামী মৌসুমে চাষীরা পাট চাষে উৎসাহিত হবে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এতে লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে আবাদ হয়েছে।
এ উপজেলা পাট চাষের জন্য আবহাওয়া যথেষ্ট উপযোগী। এ কারণে প্রতি বছরই এখানে পাটের ফলন ভালো হয়। চলতি বছরও ভালো ফলন হয়েছে। এ বছর পাটের দাম ও ভালো। আমরা কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৬ আগস্ট ২০২৪