মুছাপুর সুইচগেট ভাঙার পর আতঙ্কে আছে নোয়াখালীর পানিবন্দী মানুষ 

0
302
মুছাপুর সুইচগেট ভাঙার পর আতঙ্কে আছে নোয়াখালীর পানিবন্দী মানুষ 
মুছাপুর সুইচগেট ভাঙার পর আতঙ্কে আছে নোয়াখালীর পানিবন্দী মানুষ 
একেএম ফারুক হোসেন ঃ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মুছাপুর সুইচগেট ভাঙ্গার পর থেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে জেলার ২০ লক্ষ পানিবন্দী মানুষ। সোমবার সকাল থেকে জেলার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুছাপুর সুইচগেট ভেঙে যাওয়ার সচিত্র ভিডিয়ো দেখে মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তেমনই কয়েকটি ভিডিয়ো ছেড়ে পরবর্তী ভয়াবহ আশঙ্কার কথা প্রকাশ করায় আজ রাতে  কি ঘটতে চলেছে তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় কাটছে দিন।এ নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নোয়াখালী স্হানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের একজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে বিচলিত হয়ে ভয়ার্ত কণ্ঠে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, সুইচগেট ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী সমুদ্রের জোয়ারের পানি ঢুকে ১০ থেকে ২০ ফুট বাড়লে পুরো জেলা পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করেছেন।জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, মুছাপুর সুইচগেটটি ৩২ কোটি টাকা ব্যায়ে ২০০৬ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০০৯ গিয়ে শেষ হয়। মাত্র ১৫ বছরে এই সুইচটি ভেঙে যাওয়ায় এর নির্মাণ কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিভিন্ন নেটিজেনরা নানান তির্যক মন্তব্য করছেন।এছাড়াও
সুইচগেটটি নির্মাণের সময় এর সক্ষমতা এবং স্থায়ীত্ব নিয়ে ভাবা হয়নি বলে জানান জেলা শহরের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আকাশ মুহাম্মদ জসিম।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমির ফয়সাল জানান,”সুইচগেটটি ভেঙে পড়ার পর পানি নেমে যেতে কোনো সমস্যা হবে না”।তবে ‘সমুদ্রের উঁচু জোয়ার আসলে সেক্ষেত্রে কি ধরনের ক্ষতি হবে সেটা এ মুহূর্তেও বলা যাচ্ছে না’। কেননা এর আগে এই ধরনের কোনো অভিজ্ঞতা বা কেনো রেকর্ড নেই  নোয়াখালী জেলার। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী মানুষকে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে আজ  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক স্ট্যাটাস দেন।
আলোকিত প্রতিদিন/২৬ আগস্ট-২০২৪ /মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here