সাবরিনা জাহান:
গাজীপুরে পোশাক, সিরামিক এবং ওষুধ কারখানায় বেতন বৃদ্ধি, শ্রমিকদের সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্ব্যবহার, চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পুনরায় নিয়োগ, শ্রমিক নিয়োগে বৈষম্য এবং পুরুষ শ্রমিকদের বিনা নোটিশে অযৌক্তিক কারণ দেখিয়ে ছাঁটাই বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে সকাল থেকে বিক্ষোভসহ মহাসড়ক অবরোধ করছেন শ্রমিকরা। ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল ৬টা থেকে শ্রমিকরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করতে থাকেন।
সকাল সাড়ে ৮টার দিক থেকে ‘বাংলাদেশ বেকার সংগঠন’ নামে একটি দল গাজীপুর নগরের চান্দনা চৌরাস্তাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করে। আন্দোলনরত শ্রমিকরা বিভিন্ন কারখানার গেটে গিয়ে ইটপাটকেল ছোড়েন। কারখানার ভেতরে কর্মরত শ্রমিকরা তাদের প্রতিহত করতে অবস্থান নিলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পিছু হটেন। বিক্ষিপ্তভাবে আন্দোলনকারী শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিলে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শিল্পপুলিশ এবং সেনাবাহিনী যৌথভাবে কাজ করছে।
শিল্পপুলিশ জানায়, সকালে যথা নিয়মে কারখানায় কাজে যোগ দেন শ্রমিকরা। চাকুরিচ্যুত শ্রমিকরা তাদের পুনরায় নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবিতে কারখানার বাইরে বিক্ষোভ শুরু করেন। কর্তৃপক্ষ একের পর এক কারখানা ছুটি ঘোষণা করে। গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা, সাইনবোর্ড, জিরানি বাজার, কোনাবাড়ী, বাসন, জেলার বাঘের বাজার, শ্রীপুরের নয়নপুর এলাকায় বিক্ষোভ করেন।
জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকায় ট্রান্সকম বেভারেজ কারখানার শ্রমিকরা ২০ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন। শ্রমিকরা তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ, প্রতিমাসের ৫ তারিখের মধ্যে বেতন, নারী শ্রমিকদের নাইট ডিউটি বাতিলসহ ২০ দফা দাবি জানান।
শ্রীপুরের নয়নপুর এলাকায় আর এ কে সিরামিক কারখানার শ্রমিকরা বেতন বৃদ্ধি এবং কারখানার অভ্যন্তরে শ্রমিক থেকে ম্যানেজমেন্ট-স্টাফ পর্যন্ত সকল ভারতীয়দের অপসারণ করাসহ ৯ দফা দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের দাবি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিলে বেলা ১১টায় তারা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যান।
গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় ইউনি হেলথ ফার্মাসিউটিক্যালস (ওষুধ উৎপাদনকারী) কারখানায় শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করছেন।
আলোকিত প্রতিদিন/০৪ সেপ্টেম্বর-২৪/মওম