চিহ্নিত সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা সাদ্দাম বুক ফুলিয়ে ঘুরছেন, এলাকায় চলমান তার অপকর্ম 

0
189
মুহাম্মদ জুবাইর
চট্টগ্রামে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দফায় দফায় হামলাকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা সাদ্দাম ও সুমন এলাকায় ঘুরছেন বুক ফুলিয়ে মামলা হলেও গ্রেফতার হয়নি বাকলিয়ার চিহ্নিত সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা সাদ্দাম ও সুমন! রাস্তার টোকাই থেকে কোটিপতি কে এই সাদ্দাম?
আওয়ামী লীগের হেভি ওয়েটের নেতাদের সাথে আছে তার ভালো সখ্যতা এলাকাবাসী বলছেন বেশ কয়েকটি দেশীয় বিদেশী অস্ত্র রয়েছে তার কাছে ক্ষমতায় যেন সাদ্দামের টাকার উৎস!
উঠা বসা ছিল চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজম নাছিরের সাথে। সেই সুবাধে ছাত্র আন্দোলনের প্রথম থেকেই আন্দোলনের বিরোধিতা করে তারা। এমনকি আন্দোলন বানচাল করতে ছাত্র আন্দোলনে হামলা চালানোর অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের একটি থানায় মামলাও দায়ের করা হয়। এখানেই শেষ নয় হত্যা, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ নগরীর বেশ কয়েকটি থানায় একাধিক মামলার আসামী। বলছিলাম বাকলিয়ার চিহ্নিত সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা মো. সাদ্দাম ,পিতা-মৃত আলী আজম এর কথা
গত ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর পরই এর নাম উল্লেখ করে বাকী আরও ছয়জনকে আসামী করে নগরের কোতোয়ালি থানায় নির্বিচারে ছাত্র জনতাকে মারধর করার অভিযোগ এনে একটি মারামারির মামলা দায়ের করা হয়।একি মামলার আর এক আসামি মাদক কারবার মোঃ সুমন (৪২), পিতা- ইসহাক মিয়া, ইসলাম মিয়ার বাড়ী, সোবাহানিয়া মাদ্রাসার পার্শ্বে, আসাদগঞ্জ, এরা দুজন তবুও ধরাছোঁয়ার বাহিরে মোঃ সাদ্দাম ও মোঃ সুমন মামলা হওয়ার পরেও গ্রেফতার হয়নি। মামলার বাদী ছাত্র সমাজ মনে করছেন, প্রশাসনকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছেন আর একারণেই এখনও এলাকায় বুক ফুলানো বিচরণ তাদের।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ই আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতার উপর চড়াও হয় যুবলীগ নেতা সাদ্দাম ও সুমন। এ সময় তারা নগরের কোতোয়ালি মোড় থেকে নিউ মার্কেট মোড় পর্যন্ত ধাপে ধাপে ছাত্রদের মারধর করে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বেশ কয়েকজন ছাত্রকে বাঁশ, লাঠি দিয়ে মেরে জখম করে।
স্থানীয় এলাকাবাসীদের তথ্যমতে ও বাকলিয়া থানা এলাকা পরিদর্শন করে জানা যায়, একটা সময় কিছুই ছিল না সাদ্দাম হঠাৎ আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের দালালী করে ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায় অবৈধ পন্য সরবারহ করে রাতারাতি কোটিপতি বনে যান তারা। এ দুজনের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত হওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন যানবাহনের মোটর পাটস দিবে বলে স্থানীয় এলাকার বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে শেষে মালামালগুলো দেয়নি। সবমিলিয়ে এ খাতেও বিপুল অংকের টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে যুবলীগ নেতা সাদ্দামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত আগষ্টে কোতোয়ালী থানায় একজন ভুক্তভোগী একটি মামলাও দায়ের করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এলাকার এক ব্যক্তি বলেন, এমন কোন অপরাধ নেই যা তারা করেনি। এইসব আকাম করেই এখন তারা কোটিপতি। আমাদের এলাকায় তার নামে অনেক সম্পদ আছে। কিন্তু এই সাদ্দাম এক সময়ে দিন মজুরের কাজ করতো। হঠাৎ এত টাকার মালিক কিভাবে হলো তা অবাক করা বিষয়। সাদ্দাম ও সুমন এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি, তাদের বিরুদ্ধে কেউই মুখ খুলে না।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে যুবলীগ নেতা সাদ্দামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। অন্যদিকে সুমনের মোবাইলেও কল করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বক্তব্য চাইলে কোতোয়ালি থানার ওসি মুঠোফোনে বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ছাত্র আন্দোলনে মারামারির অভিযোগটি আমরা তদন্ত করে দেখছি। জড়িত থাকলে শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here