৭ দিনের রিমান্ডে শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবু এবং শাহরিয়ার কবির 

0
176
৭ দিনের রিমান্ডে শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবু এবং শাহরিয়ার কবির 
৭ দিনের রিমান্ডে শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবু এবং শাহরিয়ার কবির 

আলোকিত ডেস্ক:  

একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক বাবু ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের বিরুদ্ধে গৃহপরিচারিকা লিজা আক্তারকে হত্যার অভিযোগে রমনা মডেল থানার মামলায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্যদিকে গুলি করে যুবক ফজলুকে হত্যার অভিযোগে রাজধানীর ভাষানটেক থানায় করা মামলায় দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তকেও ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।

১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার পৃথক দুই মামলার শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহের আদালত এই রিমান্ডের আদেশ দেন।  এদিন পৃথক দুই মামলায় প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন পুলিশ। সকাল ৯টার দিকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। তাদের ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজতখানায় রাখা হয়। ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে তাদের এজলাসে তোলা হয়। এরই মাঝে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তাদের ‘কটূক্তি’ করতে থাকেন। শাহরিয়ার কবির শাহবাগের নাস্তিক। সে আলেম, মসজিদ, মাদ্রাসার বিরুদ্ধে সব কথা বলে। এর কিছুক্ষণ পরে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে মোজাম্মেল বাবু ও শাহরিয়ার কবিরের রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করে। বিএনপিপন্থি আইনজীবী ওমর ফারুকও রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।

পরে আদালত জানতে চান, তারা কিছু বলবেন কি না। শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘আমি অসুস্থ, হাঁটতে পারি না। আমি ১০০টিরও বেশি বই লিখেছি। কোথাও দেখতে পাবেন না, ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু বলেছি। রিমান্ড দেবেন বা না দেবেন আপনার ইচ্ছা। অসুস্থ, হুইল চেয়ার ছাড়া আমি চলতে পারি না।’  মোজাম্মেল বাবু কথা বলতে চাইলে আইনজীবীদের তোপের মুখে পড়েন। পরে দুই হাত জোর করে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তিনি বলেন, ‘আমার জয় বাংলা, জয় হিন্দ বক্তব্য ম্যানিপুলেট করা হয়েছে। আমি ক্যানসারে আক্রান্ত।’  এরপর শ্যামল দত্তের রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়। শ্যামল দত্ত আদালতকে বলেন, ‘আমি একজন পেশাদার সাংবাদিক। ৩৭ বছর সাংবাদিকতা করেছি। ৩৩ বছর একই হাউজে আছি। আমি কোনো দিন সরকারের সুবিধা নেইনি। কোনও প্লট নেইনি, টিভি (লাইসেন্স) নেইনি। আমি জাতীয় প্রেস ক্লাবের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। সম্পাদক পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট। ঘটনার সময় আমি ঢাকাতে ছিলাম না। সরকারের নির্দেশনা আছে যাচাই-বাছাই না করে সাংবাদিকদের গ্রেফতার করা না হয়। তারপরও গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় আমি কিছুই জানি না। ঘটনার সময় ওই জায়গাতেও ছিলাম না।’ পরে আদালত তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

আদালতে কার্যক্রম শেষে সিএমএম আদালতে হাজতখানায় নেওয়ার পথে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় অনেকেই তাদের আঘাত করতে গেলে দায়িত্বরতরা বাধা দেন।

আলোকিত প্রতিদিন/১৭ সেপ্টেম্বর-২৪/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here