ছাত্রলীগ নেতা জালালের নেতৃত্বে, ঢাবিতে তোফাজ্জল হ*ত্যা!

0
257

আলোকিত প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে মোবাইল ফোন চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হত্যায় নেতৃত্ব দেন ফজলুল হক মুসলিম হল ছাত্রলীগের সাবেক উপবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের (২০১৮-১৯ সেশন) শিক্ষার্থী জালাল আহমেদ নিজেই।

হলের প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের তথ্যানুযায়ী, তোফাজ্জলকে মারধরে জড়িতদের মধ্যে ছিলেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আব্দুস সামাদ (২০২০-২১), প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সুলতান (২০২০-২১), গণিত বিভাগের রাব্বি (২০২১-২১), উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ফিরোজ (২০২০-২১), মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগের সুমন (২০২১-২২), সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ওয়াজিবুল (২০২১-২২), ফার্মেসি বিভাগের মোহাম্মদ ইয়ামুজ জামান এবং গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ (২০১৮-১৯ সেশন)।

তোফাজ্জলকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জালাল আহমেদ ও মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগের সুমনকে (২০২১-২২) আটক করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে তাদের শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।

এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে এক ব্যক্তিকে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ শাহবাগ থানায় এজাহার দায়ের করেন। এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম সাহাবুদ্দিন শাহীন।

মামলার এজাহারে লেখা হয়েছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে একজন যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের গেটে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিল তখন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু ছাত্র তাকে আটক করে প্রথমে ফজলুল হক মুসলিম হলের মূল ভবনের গেস্টরুমে নিয়ে যায় তারা। এরপর মোবাইল চুরি করেছে বলে তাকে এলোপাতাড়ি চর-থাপ্পড় ও কিলঘুষি মারে। এ সময় তাকে জিজ্ঞাসা করলে তার নাম- তোফাজ্জল বলে জানায় সে।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, তোফাজ্জল মানসিক রোগী বুঝতে পেরে তাকে ফজলুল হক মুসলিম হলের ক্যানটিনে নিয়ে খাবার খাওয়ানো হয় তাকে। খাবার শেষে তাকে ফজলুল হক মুসলিম হলের দক্ষিণ ভবনে গেস্ট রুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে পেছনে হাত বেঁধে স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্র বেধড়ক মারধর করে। মারধরের একপর্যায়ে তোফাজ্জল অচেতন হয়ে পড়ে তিনি।

বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষককে জানালে তাদের সহায়তায় অচেতন যুবককে মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

আহত ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে ডাক্তার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শাহ মো. মাসুম সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বলে জানা গেছে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here