প্রতিনিধি,নোয়াখালী:
নোয়াখালী সদর উপজেলার এম,এ রশিদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রুনা আক্তারকে অভিনব কৌশলে পদত্যাগে বাধ্য করাতে অবরুদ্ধ করার ঘটনা সংঘটিত হয় গতাকাল ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায়। সংঘটিত এই ঘটনার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছে বিদ্যালয়ের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা।বিদ্যালয়ের সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটানাস্হলে ছুটে আসেন সদর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামীমা জাহান।এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক রুনা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে দশম শ্রেনীর কয়েকজন শিক্ষার্থী আমার রুমে প্রবেশ করে মায়ের সাথে জরুরি কথা আছে বলে মুঠোফোন চায়।তাদের হাতে মুঠোফোন দিলে তাৎক্ষণিকভাবে তারা রুমের দরজা বন্ধ করে আমার সামনে একট পদত্যাগপত্র পেশ করে এতে স্বাক্ষর দিতে চাপ দিতে থাকে।ঘটনার আকস্মিকতায় এবং উপস্থিত ছাত্রীদের যুদ্ধাংদেহী মনোভাব পরিলক্ষিত হলে আমি বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার দিতে দিতে ভীড় ঠেলে বন্ধ দরজা খুলে ফেলি।এসময় আমার চিৎকার শুনে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থী ও আমার শিক্ষকরা এগিয়ে আসেন।এসময় উপস্থিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলেন,প্রধান শিক্ষকের চিৎকারে আমরা ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে এসে তাকে অবরুদ্ধ করার ঘটনা সম্পর্কে জানতে এবং তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছি।এসময় শায়েলা আক্তার নামে ৭ম শ্রেনীর একজন ছাত্রীকে অবরুদ্ধকারীরা এলোপাতাড়ি কিল ঘুসি মেরে মাটিতে ফেলে পালিয়ে যায়।পালিয়ে যাওয়ার সময় প্রধান শিক্ষকের মুঠোফোনটি সাথে করে নিয়ে যায়।
ঘটনার পরপরই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির জরুরি সভা আহ্বান করে।ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মেঃ সোহাগ জানান ঘটনার বিষয়ে আমরা একটি তদন্ত কমিটি করবো। কারা, কি কারণে, এবং কাদের ইন্ধনে গুটিকয়েক শিক্ষার্থীরা ন্যাক্কারজনক কাজটি করেছে?হঠাৎ আন্দোলন ও প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের ইস্যু নিয়ে আন্দোলনকারী কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা হলে তাঁরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সমস্যার কথা প্রধান শিক্ষককে বলার পরও তিনি কার্যকর কোনো ব্যবস্হা গ্রহন করেননি।উপরন্তু নানান বিষয়ে উক্ত প্রধান শিক্ষক কালক্ষেপণ করছিলেন।
কি ধরনের সমস্যার সম্মুখীন এবং কতদিন ধরে দাবি মানছে না এমন প্রশ্নে আন্দোলনকারীরা কেউই সদুত্তর দিতে পারেনি।পরিস্থিতি উত্তরনে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছাড়াও,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি,এবং সদর উপজেলার শিক্ষক সমিতি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের নিয়ে বসার উদ্যােগ গ্রহন করেছেন।
আলোকিত প্রতিদিন/২০ সেপ্টেম্বর-২৪/মওম