শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপদেষ্টা তারা সবাই টাকার কুমির!

0
139

আলোকিত প্রতিবেদক

শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপদেষ্টা, হুইপ, এমপি, সচিব ও পুলিশ কর্মকর্তারা সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তারা। এমন অন্তত ১০০ জনের একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গোয়েন্দা ইউনিট। এই তালিকা অনুযায়ী অর্ধেকের বেশি ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে সংস্থাটির বিশেষ তদন্ত শাখা।

তালিকা অনুযায়ী সম্পদের পাহাড় গড়া উপদেষ্টাদের মধ্যে আছেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

 

 সাবেক এমপিদের মধ্যে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, সাইফুজ্জামান শিখর, সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, নজরুল ইসলাম বাবু, ইকবালুর রহিম, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, বেনজীর আহমেদ, মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, মাহফুজুর রহমান মিতা, নাছিমুল আলম চৌধুরী ওরফে নজরুল, আয়শা ফেরদৌস, রণজিত কুমার রায়, জাকির হোসেন, হাবিব হাসান, অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম তালুকদার, আবদুল ওদুদ, নিজাম উদ্দিন হাজারী, এনামুল হক, নাঈমুর রহমান দুর্জয়, শওকত হাচানুর রহমান রিমন, আনোয়ারুল আশরাফ খান ওরফে দিলীপ, সাদেক খান, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, আকতারুজ্জামান বাবু, শফিকুল ইসলাম শিমুল, তানভীর ইমাম, সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ওরফে সেলুন, শাহে আলম তালুকদার, ডা. মনসুর রহমান, মো. আবুল কালাম আজাদ, ধীরেন্দ্র নাথ শম্ভু, জান্নাত আরা হেনরী, অসীম কুমার উকিল ও তার স্ত্রী যুব মহিলা লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি অপু উকিলের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তমাল মনসুরের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান চলছে। সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এবং ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক প্রধান ডিআইজি হারুন অর রশীদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। 

সর্বশেষ গত ২০ আগস্ট হারুনের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, সাব রেজিস্ট্রি অফিস, পাসপোর্ট, নির্বাচন কমিশনসহ অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া এবং বরিশাল রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি জামিল হাসানের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্থে।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি গাজী মো. মোজাম্মেল হক ও তার স্ত্রী ফারজানা মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চেয়ে গত ২০ আগস্ট দুদকে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. লুৎফর রহমান। গত ১৩ মে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে (এসবি) কর্মরত অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের অনুসন্ধান শুরুর সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

গত ২৫ আগস্ট জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ারের বিরুদ্ধে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব শাহ কামাল এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব (মূসক মনিটরিং, পরিসংখ্যান ও সমন্বয়) আরজিনা খাতুন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন এবং এপিএস-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। গত ১৯ আগস্ট রাজধানীর সেগুনবাগিচায় নিজ কার্যালয়ে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের মোট ৪১ জনের দুর্নীতির একটি তালিকা আমরা পেয়েছি হাতে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here