এমএইচ চৌধুরীঃ
স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের একক ক্ষমতা ব্যবহার করে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত বীমা শিল্পে প্রশাসক নিয়োগ করে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায় বেশকিছু বীমা কোম্পানি’কে। এতে লক্ষ লক্ষ বীমা কর্মী তাদের দীর্ঘদিনের চাকরী হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত ০৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হলে শুরু হয় ইন্স্যুরেন্সে ডেভেলপমেন্ট রেগুলেটরি এন্ড অথরিটি চেয়ারম্যান জয়নুল বারীর বিরুদ্ধে দফায় দফায় প্রতিরোধ। দীর্ঘ এক মাস বীমা কর্মীদের কঠোর আন্দোলন এবং নানান দাবির মুখে ঠিকতে না পেরে আইডিআরএ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়ে নিজেকে দায়মুক্তি করলেও বিগত দিনের হাজারো অনিয়মের তদন্তবিহীন অবস্থায় তাকে পদায়ন করা হয় বাংলাদেশের আরেকটি রাষ্ট্রীয় অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা করপোরেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে। সাবেক দূর্নীতিবাজ সচিব জয়নুল বারীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনিয়ম দূর্নীতির পরেও থেমে নেই তার পদায়ন। ০৫ সেপ্টেম্বর আইডিআরএ চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগের পর ১২ সেপ্টেম্বর সাধারণ বীমা করপোরেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বর্তমান সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক বিভাগ প্রতিষ্ঠান। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক বিভাগের এমন অনিয়মের কারণে বিগত দিনে সরকারের আমলারা হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট ও বিদেশে পাচারের সুযোগ পায় বলে জানান বেশ কয়েকজন সিনিয়র ব্যক্তি। সরকারি নথিপত্র যাচাই পূর্বক জানা যায় ২০২৩ সালে চাকরির মেয়াদকাল শেষ হলে ১৪ অক্টোবর অবশরোত্তর ছুটিতে যায় জয়নুল বারী।কিন্তু স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের মদদপুষ্ট হওয়ার কারণে চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি করে তাকে পূনরায় আইডিআরএ চেয়ারম্যান পদে আসীন করেন স্বৈরাচারী সরকার। আইডিআরএ চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পাওয়ার পর বিভিন্ন কোম্পানির কাছে অনৈতিক অর্থ দাবি করলে যে সকল কোম্পানি অর্থদানে অপারগতা প্রকাশ করেন তাদের প্রতিষ্ঠান গুলোতে অনিয়মের তকমা লাগিয়ে প্রশাসক নিয়োগ করে প্রতিষ্ঠান গুলোকে দমিয়ে রাখেন।বিসিএস (প্রশাসন) ৯ম ব্যাচের কর্মকর্তা মোহাম্মদ জয়নুল বারী ২০২১ সালের জানুয়ারিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন। পরবর্তী বদলি করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বিভাগে। এর আগে তিনি চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয়ে সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত সাধারণ বীমা করপোরেশনের চেয়ারম্যান জয়নুল বারীর বক্তব্য নেওয়ার জন্য মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য জানাতে অসীকৃতি প্রকাশ করেন।
আলোকিত প্রতিদিন/২২ সেপ্টেম্বর-২৪/মওম