শহিদুল্লাহ সরকার:
সাভারে গণহত্যার ঘটনায় একে একে অনুসন্ধানে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই ঘটনার “মাস্টারমাইন্ড” হিসেবে উঠে এসেছে সাভার উপজেলা স্বৈরাচারী আওয়ামী সাভার উপজেলা সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিব এর নাম। কৌশলে তিনি পলাতক আছেন। শেষ পর্যন্ত ফেঁসেই যাচ্ছেন। গ্রেপ্তার আতংকে ইতোমধ্যে গা ঢাকা দিয়েছেন সাভারের ডন রাজিব। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, নিজেকে আড়াল করতে নানা কৌশল খাটিয়েও শেষ রক্ষা না হওয়ায় যে কোন মুহূর্তে অবৈধ পথে দেশত্যাগের পরিকল্পনা করছেন রাজিব। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ইতিমধ্যেই ইমিগ্রেশনসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে তার বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের।অনুসন্ধানে জানা গেছে, সেদিন দুপুরে সাভার উপজেলা আওয়ামীলীগ,ছাত্রলীগ,যুবলীগের সকল নেতাকর্মী সাভার বাসস্ট্যান্ডে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর গুলিবর্ষণ করে একাধিক ভিডিও প্রকাশ্যে এলে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, বীভৎস এবং নারকীয় ওই ঘটনার নির্দেশদাতা হিসেবে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছিলেন এই রাজিব। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান,সকল কিছুর নেতৃত্বে ছিলেন মঞ্জুরুল আলম রাজিব। তার নির্দেশেই আওয়ামী লীগ,ছাত্রলীগ,যুবলীগের নেতাকর্মী ছাত্রদের উপর গুলিবর্ষণ করে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি মোকাবেলায় রাজিব এর নির্দেশে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ সাভার বাসস্ট্যান্ডে রেডিও কলোনি বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নেয়। দুপুর সরকার পতনের খবর ছড়িয়ে পড়লে।
ক্ষুব্ধ ছাত্র জনতার ঢল ক্রমাগত বাড়তে থাকলে ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষণ করলে বেশ কয়েকজন মারা যান। পরে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।
আলোকিত প্রতিদিন/২২ সেপ্টেম্বর-২৪/মওম