আলোকিত প্রতিবেদক
সাতক্ষীরার দেবহাটায় ৬৭ বছরের এক বৃদ্ধা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই বৃদ্ধাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। তার অস্ত্রোপচার দরকার বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার পারুলিয়ায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত আসাদুল ইসলাম পলাতক রয়েছে এখনও।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৃদ্ধা রবিবার সকালে জানান, কয়েক বছর আগে তার স্বামী মারা গেছেন। দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে অনেক আগেই। একমাত্র ছেলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অন্যত্র বসবাস করে তারা। জীবিকার তাগিদে তিনি ঘটক হিসেবে কাজ করেন তিনি।
তিনি জানান, আসাদুল ইসলামের ছেলের বিয়ে ঠিক করতে শনিবার পাশের গ্রামে মেয়ে দেখাতে নিয়ে যান তিনি। রাত ১১টার দিকে ছেলের বাবা আরও কিছু খোঁজখবর নেওয়ার কথা বলে বৃদ্ধার বাড়িতে আসেন। তিনি (বৃদ্ধা) দরজা খোলামাত্রই ওই ছেলের বাবা মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করেন তাকে। পরে তিনি কোনোমতে নিজেকে ছাড়িয়ে চিৎকার শুরু করেন। তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশী রুহুল আমিন ও আবদুল মজিদ এগিয়ে আসেন।
স্থানীয় বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, “ওই নারীর (বৃদ্ধা) চিৎকারে আমরা ছুটে যাই সেখানে। একপর্যায়ে আসাদুল পালিয়ে যায়। পরে বৃদ্ধাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সোমা রানী দাস বলেন, “ওই বৃদ্ধার প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তা বন্ধ করার জন্য জরুরিভাবে অপারেশনের প্রয়োজন। তাই তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দেবহাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক ইদ্রিসুর রহমান বলেন, “আসাদুল ইসলামকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছেলে বাদী হয়ে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি