এফএইচ মুন্নাঃ
সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে ঘুষ ছাড়া মিলেছে না জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন। অভিযোগের ভিত্তিতে গিয়ে দেখা যায় কামরুল হাসান রিয়াদ কম্পিউটার অপারেটর ভুক্তভোগীদের সাথে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে খুবই বাজে ব্যবহার করে। কিভাবে একটা এন আইডি কার্ডে সংশোধনে সমাধান করবে সেই ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞেস করতে গেলে তিনি ভুক্তভোগীদের সাথে উত্তেজিত হয়ে অফিসের বাহিরে পাঠিয়ে দেন। পরবর্তী ১১১ নাম্বার রুমে গিয়ে দেখা করেন ইত্যাদি।
ভুক্তভোগীদের তথ্য মতে সোনাইমুড়ী উপজেলাতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন প্রতিদিন অনবরত এনআইডি কার্ড সংশোধনীয় জন্য হয়রানি হতে থাকে বলে মন্তব্য করেন। দেওটি ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের দুই ব্যক্তি একজন চার বছর আরেকজন ১ বছর পর্যন্ত একটি এনআইডি কার্ডের সংশোধনীয় করার জন্য ঘুরাঘুরি করলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই ব্যক্তিটি বিদেশে যেতে তার এন আইডি কার্ড সংশোধনের ব্যাপারে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানান। সাংবাদিকদের সঙ্গে কষ্টের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ভুক্তভোগী।
বিগত সরকারের আমলে তারা যেই হয়রানির শিকার হয়েছে বর্তমানে এনআইডি কার্ড সংশোধনে নির্বাচন কমিশনের অফিসেও সেইম হয়রানির শিকার হচ্ছেন এমনটি মন্তব্য আবেদনকারীদের। সরকার বদল হয়েছে কিন্তু নির্বাচনে কমিশনের যেই অফিসার বা কম্পিউটার অপারেটর যারা কর্মরত তাদের মন মানসিকতা, কাজের প্রতি উদাসীনতা এখন আগের চেয়েও ভয়ংকর হিসেবে দেখাচ্ছে বলে জানান ভুক্তভোগী।
৯নং দেওটি ইউনিয়নের পতিশ গ্রামের বাসিন্দা গ্রামের নামটি পতিশ ভুল সংশোধন করতে গিয়ে বারবার হয়রানি শিকার হতে হয়েছেন বলে জানান আবেদনকারী।
সার্ভারের সমস্যা দেখিয়ে এলাকায় ৯৫ শতাংশ এনআইডি কার্ডের ভুল হয়েছে বলেন কম্পিউটার অপারেটর।পরিচয় গোপন করে সাধারণ মানুষ হয়রানি হচ্ছে কেন এমন প্রশ্ন করা হলে একজন অপারেটর উত্তেজিত কন্ঠে চওড়া হয়ে যায় প্রতিবেদকের সঙ্গে।
সোনাইমুড়ি উপজেলার দেওটি ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রায় ৯৫% মানুষের এনআইডি কার্ডে নামের ভুল করেছে উপজেলা নির্বাচন কমিশন। ভুল সংশোধন করার জন্য রয়েছে সিন্ডিকেট, প্রতিটি এনআইডি কার্ডের ভুল সংশোধন করতে দিতে হয় পাঁচ হাজার টাকা করে। সিন্ডিকেটে মোটা অংকের টাকা দিলে ৭/১৫ দিনের মধ্যে হয়ে যায় এনআইডি কার্ডের ভুল সংশোধন।
দালাল বা সিন্ডিকেট এর বাহিরে গিয়ে ভুল সংশোধন করতে গেলে বছরের পর বছর ঘুরতে হয় উপজেলা নির্বাচন কমিশনের অফিসের বারান্দায় বলে জানান ভুক্তভোগীগণ। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসে বক্তব্য নেওয়া জন্য গেলে তিনি অফিসে উপস্থিত না থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি