জোবায়দুর রহমান জুয়েল, গাইবান্ধা
চলতি বছরে গাইবান্ধার সাতটি উপজেলার মধ্যে চারজন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। তাদের মধ্যে দুইজন নারী ও দুইজন পুরুষ শিক্ষক রয়েছেন। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২৪ উপলক্ষ্যে গত ১৮ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ ও প্রাথমিক শিক্ষা পদক যাচাই কমিটির কমিটির সদস্য সচিব মো: নবেজ উদ্দিন সরকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ শিক্ষক/শিক্ষিকারা হলেন- ফুলছড়ি উপজেলার আনন্দবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল হুদা, তিনি বিগত ২০১৪, ২০১৬, ২০১৯ সালে ফুলছড়ি উপজেলা থেকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছিলেন। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা মনিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা: সাজেদা খাতুন (স্মৃতি)। ইতিপূর্বে তিনি জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতায় প্রধান শিক্ষক (নারী) ক্যাটাগরিতে উপজেলা পর্যায়ে চারবার এবং জেলা পর্যায়ে দুইবার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। গাইবান্ধা সদর উপজেলার সোনাইডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো: একরামুল হক সরকার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোছা: মাহমুদা খাতুন শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়াও সুন্দরগঞ্জের চাচিয়া নওহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা: জিন্নাতুন ফেরদৌসি শ্রেষ্ঠ কাব শিক্ষক, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো: আব্দুল কাদের শ্রেষ্ঠ কর্মচারী, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মীর মো: শামসুল আলম শ্রেষ্ঠ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, ফুলছড়ি উপজেলার ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর মো: মিজানুর রহমান শ্রেষ্ঠ ইন্সট্রাক্টর (ইউআরসি/ টিআরসি) এবং সদর উপজেলার বেড়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: নাফিউল সিদ্দিকী শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছেন।
এব্যাপারে গাইবান্ধা সদর উপজেলার সোনাইডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠ সহকারি শিক্ষক মো: একরামুল হক সরকার জানান, এই সফলতার জন্য সকল শুভাকাক্সক্ষী যারা সব সময় উৎসাহ দিয়ে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন, কাজে সহযোগিতা করেছেন এবং প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লি¬ষ্ট সকলের প্রতি গভীর ভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি
