প্রতিনিধি,মানিকগঞ্জ :
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় ককটেল বিস্ফোরণ, মারপিট ও ভাঙচুরের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল আলিম মিয়া মিন্টু সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান আলাইসহ ১০০ শত জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও একশো জনের নামসহ মোট ২০০ জনের নামে মামলা হয়েছে। শুক্রবার (২৭ -সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক মোঃ কামরুল হাসান ও ঘিওর উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি মির্জা এজাজ বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলায় ঘিওর থানায় ১০০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০০ জনকে আসামি করে এই মামলা করেন। যার মামলা নং-৭ তারিখ ২৭-৯-২০২৪ ইং। গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় মোঃ কামরুল হাসান ও মির্জা এজাজের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, মারপিট, ও ভাঙচুর করা হয়। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ঘিওর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল আলিম মিয়া মিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হামিদুর রহমান আলাই এর নির্দেশনায়, পরিকল্পনা ও প্রত্যক্ষ মদদে আসামিরা গত ৪ আগস্ট কামরুল হাসান এবং মির্জা এজাজের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, মারপিট ও ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় ৫ লাখ করে দুটি মামলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। মামলায় এজাহার নামীয় বাকি আসামিরা হলেন- উপজেলা আ.লীগের সহসভাপতি আব্দুল মতিন মুসা, ইকরামুল ইসলাম খবির, শামীম হোসেন (সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান), ছানোয়ার হোসেন ছানু (সভাপতি জাতীয় শ্রমিক লীগ), গোরাঙ্গ ঘোষ, সামসুল আলম খান, কাজী রফিকুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান জনি, বাবুল বেপারি, ইকবাল বাহার শামীম, তালাৎ পাশা সবুজ, রেজু খান, নূরে আলম জনি, মোঃ ফারুক (৫২), দিপু সরকার, মঞ্জু মেম্বার (সভাপতি ঘিওর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ), শরিফুল ইসলাম শরিফ (সাধারণ সম্পাদক ঘিওর থানা যুবলীগ), সনজিত কুমার বসু, দুলাল, মো: রতন, কাজী নজরুল ইসলাম, মোতালেব হোসেন, মোক্তারুজ্জামান বাবু, আলমাছ উদ্দিন বিশ্বাস , মধু মিয়া (সভাপতি নালী ইনিয়ন আওয়ামীলীগ), ৩০। লতিফ (সভাপতি বালিয়াখোড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ), সায়েদুর রহমান (সভাপতি বড়টিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ), ইঞ্জিনিয়ার হারুন অর- রশিদ, (চেয়ারম্যান পয়লা ইনিয়ন), রতন ওয়াহেদ, আবুল বাশার (২৯), নিজাম উদ্দিন, ইকবাল হাসান, আমিরুল ইসলাম, রিয়াদ হোসেন, আশরাফুল আলম দুলাল, আবুল বাশার, আনোয়ারুল হক, রহিজ উদ্দিন, আলম বেপারি, শওকত মিয়া, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, আমিনুল বেপারি, আরিফুল হক মিঠু, আবুল বাশার সহ আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও দুটি মামলায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরও একশো জনের অধীককে আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার্স ইনচার্জ আশীষ কুমার সান্যাল জানান, পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। তদন্তে দোষি প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/২৯ সেপ্টেম্বর-২৪/মও
