এম জসিম উদ্দিন: সারা দেশে সব মানুষের মধ্যে বইয়ের প্রেম ছড়িয়ে দিতে, আড্ডার মূল বিষয় বস্তু বই করে তুলতে এবং বইয়ের আলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে উন্মুক্ত লাইব্রেরি যাত্রা শুরু করেন লাইব্রেরি এক্স এর উদ্যোক্তারা। ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা সদরে আনোয়ারা সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে উন্মুক্ত গ্রন্থাগার এক্স এর উদ্বোধন করেন, ইতিহাস গবেষক, লেখক ও প্রকাশক জামাল উদ্দিন। লাইব্রেরি এক্স এর প্রধান নির্বাহি ও প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, আনোয়ারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট হুসাইন মোহাম্মদ। লাইব্রেরি এক্স এর সিনিয়র সদস্য মেহেজাবিন তিম ও আতিক হামিমের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন, আনোয়ারা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহাম্মদ রিদুয়ানুল হক, আনোয়ারা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দীন, আনোয়ারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এরফান চৌধুরী প্রমুখ। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘উন্মুক্ত লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট, আমাদের মনোজগতের উন্নয়ন। বক্তারা আরও বলেন, উন্নত দেশগুলোতে আমরা রাস্তার পাশে কিংবা উন্মুক্ত পার্কে মানুষকে বই পড়তে দেখি। কিন্তু আমাদের দেশে সেটি দেখা যায় না। উন্মুক্ত লাইব্রেরির মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশেও সে ধরনের সংস্কৃতি তৈরির চেষ্টা করছি। তরুণদের মধ্যে যারা বই বিমুখ, উন্মুক্ত লাইব্রেরি তাদের জন্য নতুন দ্বার খুলে দেবে, নতুন পথ দেখাবে এবং নতুন করে ভাবতে শেখাবে। একইসঙ্গে উন্মুক্ত লাইব্রেরি আমাদের মগজের অন্ধত্বতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি, মৌলবাদী চর্চা ও ঔপনিবেশিক মনোভাব দূরীকরণে ভূমিকা রাখবে।’ বক্তারা আরও বলেন, ‘বই মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, মানুষকে সমৃদ্ধ করে। লাইব্রেরি বা পাঠাগার একটি অঞ্চলের মানুষকে আলোকিত করে তুলতে পারে। আনোয়ারার মাটিতে উন্মুক্ত লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠা এই অঞ্চলের মানুষকে আলোকিত করে তুলবে বলে বিশ্বাস করা যায়।’এ সময় অতিথিরা লাইব্রেরিটির যে কোনও প্রয়োজনে এবং সম্মৃদ্ধিতে পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আলোকিত/০৯/১০/২০২৪/আকাশ
