দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে, ১০৬ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ

0
175

স্পোর্টস ডেস্ক

ভারত সিরিজের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠেও ব্যাটিং ব্যর্থতা বজায় রইল বাংলাদেশ দল। দলের মাত্র ৩ ব্যাটার পেয়েছেন ৩ রানের দেখা। এদের মধ্যে ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও মিডল অর্ডারে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ বাদে অন্যজন দশ নম্বরে নামা তাইজুল ইসলাম। এমন ব্যর্থতার খেসারত দিয়ে মাত্র ১০৬ রানেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ইনিংস। সর্বনিম্ন ইনিংসটি ছিল ৮৭ রানের। ২০২১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৭ রানে আউট হয়েছিল বাংলাদেশ। তবে টেস্ট ম্যাচের প্রথম ইনিংসে এটিই সর্বনিম্ন রান। এমনকি এই মাঠেই প্রথম ইনিংসে এটি সবচেয়ে কম রান। এই নিয়ে ঘরের মাঠে সবশেষ সাত ইনিংসের ছয়টিতেই দুইশর আগে অলআউট হলো বাংলাদেশ।

মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে সকাল থেকেই ধারাবাহিকভাবে উইকেট বিলিয়ে আসে বাংলাদেশ। মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই অর্থাৎ, ৬০ রান তুলতে হারায় ৬ উইকেট। একপ্রান্তে মাহমুদুল হাসান জয় উইকেট আগলে পড়ে থাকলেও একে একে বিদায় নেন সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসাইন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজও।

বাংলাদেশ প্রথম ৬০ রান তোলার পথে রানের প্রতিটি দশকে কমপক্ষে একটি উইকেট হারিয়েছে। ১ থেকে ১০ রানের মধ্যে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এভাবে ১১ থেকে ২০ রানের মধ্যে একটি, ২১ থেকে ৩০ রানের মধ্যে একটি, ৩১ থেকে ৪০ রানের মধ্যে একটি, ৪১ থেকে ৫০ রানের মধ্যে একটি ও ৫১ থেকে ৬০ রানের মধ্যে একটি উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।

ইনিংসে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট দিয়ে আসেন সাদমান। কোনো রান করার আগেই উইয়ান মুল্ডারের বলে স্লিপে এইডেন মার্করামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ৩ নেমে মুমিনুল হকও ৪ রানের বেশি করতে পারেননি সে। সেই মুল্ডারের বলেই দলীয় ১৩ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। ১৩ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশ ২১ রানের মধ্যে হারায় আরও ১ উইকেট। আবারও বাংলাদেশ শিবিরে আঘাত হানেন মুল্ডার। তার বলে কেশাভ মহারাজকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৭ বলে ৭ রান করা শান্ত। বাংলাদেশ চতুর্থ উইকেট হারায় দলীয় ৪০ রানের মাথায়। মুশফিককে (১১) সরাসরি বোল্ড করেন কাগিসো রাবাদা।

মধ্যাহ্ন বিরতির পরপরই প্রতিরোধ ভাঙে জয়ের। দলীয় ৭৬ রানে ব্যক্তিগত ৩০ রান করে আউট হন এই ওপেনার। আজ অভিষেক ঘটা জাকের আলীও নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি। ১৫ বলে ২ রান করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। নবম উইকেটে নাঈম হাসান ও তাইজুল ইসলাম হাল না ধরলে এক শ’র নিচেই গুটিয়ে যেত বাংলাদেশ। দুজনে দলের সঙ্গে যোগ করেন ২৬ রান। বাংলাদেশের ইনিংসে এটিই সর্বোচ্চ জুটি। ১০২ রানে নবম উইকেট (নাঈম) হারানোর পর দলীয় ১০৬ রানে শেষ ব্যাটার হিসেবে ফেরেন তাইজুল। ৩১ বলে ১৬ রান করেন তিনি।

প্রোটিয়াদের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা, উইয়ান মুল্ডার ও কেশব মহারাজ। বাকি উইকেট স্পিনার ডেন পিটেরও।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here