মানিকগঞ্জে ইলিশ রক্ষায় শেষ দিনেও ছিল যমুনার পাড়ে জমজমাট ইলিশ বিক্রির হাট 

0
159
মো. মিজানুর রহমান খান কুদরত, মানিকগঞ্জ 
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরাঞ্চল বাচামারা, বাঘুটিয়া ও চরকাটারি ইউনিয়নে ইলিশ রক্ষায় রবিবার ৩ নভেম্বর শেষ দিনেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যমুনা নদীতে মা ইলিশ শিকারের উৎসবে মেতেছিল অসাধু অসংখ্য জেলেরা।
রবিবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে যমুনায় পরিদর্শন কালে দেখা গেছে, জেলেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বেপরোয়া হয়ে দিন-রাত যমুনা নদীতে শিকার করছে মনকে মন ইশিশ মাছ। মৎস্য বিভাগের ঢিলে-ঢালা অভিযানের কারণে জেলেরা মেতে উঠেছে ইলিশ শিকারে। নিধন ইলিশ গুলো প্রকাশ্যই পাল্লা দিয়ে অবাধে বিক্রি করছে যমুনার বিভিন্ন নদীর পাড় সহ স্থানীয় হাট-বাজার ও গ্রামগঞ্জে। এছাড়া প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে যমুনার পাড়ে বসছে ইলিশ বিক্রির জমজমাট হাট। ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা, অধা কেজির ৮০০ টাকা ও ছোট গুলো পাচঁশত টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শতশত ক্রেতা-ক্রেতাদের ভিড়ে মুখরিত মাছ বিক্রির নদী পাড়ের হাট। এখানে বাতাসে বইছে ইলিশের গন্ধ। ইলিশ মৌসুমে মাছ ব্যবসায়ীরা বাঘুটিয়ার পাচুরিয়া বাজার-নদীর পাড়, নতুন শ্যামগজ বাজার, দে পাড়া, বাচামারা ইউনিয়নের নদীর পাড়-বাজার, চরকাটারির নদীর পাড় সহ জিয়নপুরের আমতলী ও পার্শ্ববর্তী টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার দপ্তিয়রের বাজার-গ্রামগঞ্জে বিক্রি করছে। যেন দেখার কেউ নেই!
নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক বাঘুটিয়া ইউনিয়নের সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন,  প্রশাসনের দায়সারা ঢিলেঢালা অভিযানের কারণে জেলেরা যমুনায় ইলিশ ধরায় সাহস পাচ্ছে। চরাঞ্চলের নদীর পাড়-বাজার ও গ্রামগঞ্জে পাল্লা দিয়ে বিক্রি হচ্ছে মা ইলিশ। প্রতিদিন দিন-রাতে যমুনায় অভিযান চলমান থাকলে ইলিশ নিধন কম হতো।
জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় গত ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞার সময় এসব এলাকায় সব রকমের ইলিশ সংরক্ষণ, আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও মজুতকরণ নিষিদ্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, কম জনবল ও সীমিত টাকা বরাদ্দ থাকায় প্রতিদিন যমুনা নদীতে ইলিশ রক্ষায় অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here