কিশোরগঞ্জে আগাম আলু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক

0
136

জয়ন্ত রায় ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধ

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আগাম আলুক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।বর্তমানে আবহাওয়া অনুকুল ভালো থাকায় মাস খানেক পরে নতুন আলু উত্তোলন শুরু হবে বলে কৃষকেরা জানান।

উপজেলা কৃষি বিভাগের সূত্র মতে, এ বছর উপজেলায় আগাম জাতের আলুর আবাদ এর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৬ হাজার ৭৮০ হেক্টর। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে মাঠের পর মাঠ জুড়ে এখন আলু গাছের সবুজ পাতার রঙে মুখরিত ফসলের মাঠ। প্রতিটি মাঠে এখন শুধু সবুজ রঙের চোখ ধাঁধাঁলো বর্ণীল সমারোহ। কৃষাণ-কৃষাণীর ব্যস্ততা এখন ক্ষেত পরিচর্যায়।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা কেউ কেউ আগাছা পরিষ্কার, সার প্রয়োগ, সেচ, ছত্রাক রোগ-বালাইয়ের হাত থেকে ফসল বাঁচাতে কীটনাশক স্প্রে সহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের   দক্ষিণ দুরাকুটি এলাকার আগাম আলু চাষি একরামুল হক জানান,আগাম আলুর বাজার ধরার আশায় আগাম আলু রোপণে মাঠে কোমর বেঁধে নেমে পড়েন।আবহাওয়া অনুকূল ভালো থাকায় আলুর বাম্পার ফলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে বাজার দর ঠিক থাকলে খরচ পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব বলে জানান তারা।

কৃষক আবু হানিফা বলেন, এ বছর আগাম আলু চাষ করতে গিয়ে বিড়ম্বনার পড়তে হয়েছে।বীজ আলু ও সারের দাম এবার বেশি হওয়ায় প্রতি বিঘা জমিতে ব্যয় হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। আশা করছি ৩০-৩৫  দিনের মধ্যে নতুন আলু বাজারে তোলা যাবে।  সঠিক বাজার মূল্য না পেলে এবার কৃষকরা লোকশানের মুখে পড়ব বলে জানান তারা।

উপজেলা কৃষি অফিসার লোকমান আলম বলেন, এবছর আবহাওয়া অনুকূল ভালো থাকায় আলুর ভালো ফলনের আশাবাদী কৃষক। বাজারে ভালো দাম পেলে ভালো লাভবান হতে পারবে কৃষকরা।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here