মানিকগঞ্জে নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরার উৎসবে মেতেছে জেলেরা

0
153
মো. মিজানুর রহমান খান কুদরত, মানিকগঞ্জ 
টানা ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা শেষে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর-শিবালয় ও দৌলতপুরে পদ্মা-যমুনা নদীতে ইলিশ ধরার উৎসবে মেতেছে জেলেরা। ইলিশ ধরতে সবশেষ প্রস্তুতি নিয়ে গতরাত ১২ টার পর থেকে জাল, নৌকা নিয়ে নদীতেই ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। ব্যস্তময় ঘাটগুলোও হয়ে উঠছে আরো কর্মচঞ্চল।
নদীতে মা-ইলিশ রক্ষায় গত ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত উপজেলা গুলোর যমুনা-পদ্মা নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ২২ দিনের এই নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা সবাই নদীতে নেমে পড়েছেন মাছ শিকারে।
সরেজমিনে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া, বাচামারা, চরকাটারি সহ বিভিন্ন ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, জেলেরা নদীতে অসংখ্য ইঞ্জিন চালিত ট্রলার-নৌকা দিয়ে মাছ ধরছেন। জেলে পল্লীতে বিরাজ করছে আনন্দঘন পরিবেশ। ঘাটে ফিরে এসেছে কর্মচাঞ্চল্য।
উপজেলার চরকাটারি ঘাটের কয়েকজন জেলে জানান, গত ২২ দিন বেকার বসে ছিলেন তারা। তাদের আয়-উপার্জন বন্ধ ছিল। কেউ কেউ অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়লেও অনেকে নিজেদের নৌকা, জাল মেরামতে সময় কাটিয়েছেন। এ বছর মৌসুমের প্রথম থেকে তেমন ভালো মাছ পাওয়া যায়নি। অনেক জেলে নৌকা এখনো আর্থিকভাবে ঋণগ্রস্ত অবস্থায় আছেন। নিষেধাজ্ঞার পর নদীতে মাছ পাওয়া না গেলে তাদেরকে পথে বসতে হবে।
উপজেলার বাচামারা ঘাটের জেলে রহমত আলি জানান, নদীতে তেমন মাছ নাই। কাল রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ইলিশ পেয়েছি মাত্র ৪ কেজি। এভাবে মাছ পেলে খরচই উঠবেনা।
পদ্মার পাড়ে ইলিশ ক্রয় করতে আসা মো. আলিম মিয়া জানান, ইলিশের তুলনায় ক্রেতা অনেক বেশি, তাই দামও অনেক বেশি। এই ইলিশের তুলনায় বরিশালে যে ইলিশ পাওয়া যাও ঐগুলার দাম কম। তারপরও এসেছি পদ্মার তরতাজা ইলিশ কেনার জন্য দেখি কিনতে পারি কিনা।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, সরকার ঘোষিত  ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে পালন করা হয়েছে। এ সময় নদীতে প্রশাসন মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান পরিচালনা করে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় কিছু অসাধু জেলেকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হয়। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা আমাদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ দিয়ে অভিযান পরিচালনা করেছি।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here