আলোকিত ডেস্ক:
আওয়ামী লীগের সমাবেশ করার ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সরগরম রাজধানী। সম্প্রতি ফেসবুক পেজে জিরো পয়েন্ট এলাকায় সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি। তবে সকাল থেকে এখন পর্যন্ত পল্টন, জিরো পয়েন্ট ও গুলিস্থান এলাকায় তাদের নেতাকর্মীদের কোনো অবস্থান দেখা যায়নি। উল্টো সমাবেশ প্রতিহত করার জন্য কিছু সময় পরপরই বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে এখানে আসছেন। তারা মিছিলে বিভিন্ন স্লোগানে জানান দিচ্ছেন নিজেদের অবস্থান।
১০ নভেম্বর রবিবার বেলা ১২টার দিকে পল্টন মোড় থেকে শুরু করে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বিগত দিনগুলোর মতোই রয়েছে যানজটও। মানুষের উপস্থিতিও স্বাভাবিক। তবে পুরো এলাকাজুড়ে সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। জিরো পয়েন্ট এলাকায় একটি জলকামান এবং এপিসি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মীদের এখানে দেখা যায়নি। জুলাইয়ের কাফেলা নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে মিছিল নিয়ে আসা একজন বলেন, স্বৈরাচারের দোসররা বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছে। তারা এখনো দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে। বিগত দিনের গণহত্যার ব্যাপারে অনুতপ্ত হওয়ার বদলে উল্টো দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটি ঘৃণ্য দল। এদের লজ্জা শরম নেই। তাদের ঘোষিত কর্মসূচি প্রতিহত করা হবে।
অপরদিকে এখনও আজকের সমাবেশকে সফল করতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে বিভিন্ন পোস্ট দেওয়া হচ্ছে। যেখানে সমাবেশ সফল করার জন্য নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা দিতেও দেখা গেছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর মাঠে নামতে পারেনি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা দলটির নেতাকর্মীরা। গত ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার রোষানলে পড়তে হয় দলটির নেতাকর্মীদের। আবার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এরই মধ্যে। এ অবস্থার মধ্যেই নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকার জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। ওই পোস্টে বলা হয়, আগামী ১০ নভেম্বর রবিবার বিকেল ৩টায় শহীদ নূর হোসেন চত্বরে অগণতান্ত্রিক শক্তির অপসারণ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
মিছিলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী সাধারণ মানুষকে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। একই সঙ্গে দেশব্যাপী সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়। তবে ওই একইস্থানে পাল্টা গণজমায়েতের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
আলোকিত প্রতিদিন/১০ নভেম্বর-২৪/মওম