কৃষকবান্ধব সেচ নীতিমালা ও পানি ব্যবস্থাপনার দাবি

0
101
নাহিদ ইসলাম (রাজশাহী): বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তপক্ষের (বিএমডিএ) সেচ নীতিমালা-২০০৮ এর পরিবর্তন এবং কৃষকবান্ধব পানি ব্যবস্থাপনার দাবিতে বরেন্দ্র কৃষকেরা মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধন থেকে কৃষক সমতির মাধ্যমে নির্বাচন করে বিএমডিএর গভীর নলকূপ অপারেটর নিয়োগ ও এগুলোর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব কৃষক সংগঠনকে দেওয়ারও দাবি জানানো হয়।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় রাজশাহী নগরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে এই কর্মসূচি পালিত হয়। সামাজিক সংগঠন সবুজ সংহতি রাজশাহী, বরেন্দ্র কৃষক জনসংগঠন সমন্বয় কমিটি, সচেতন নাগরিক কমিটি ও উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্টান বারসিকের উদ্যোগে এর আয়োজন করা হয়। এতে জেলার তানোর, গোদাগাড়ী, মোহনপুর ও পবা উপজেলাসহ বরেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন- বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষির উন্নয়নে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করেছে কৃষকের সমস্যা সমাধানে । কিন্তু বরেন্দ্র উন্নয়ন কতৃপক্ষের কিছু বৈষম্যমূলক নিয়ম নীতির কারণে কৃষক পানির অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। খাস পুকুর, দিঘি এবং জলাধারগুলো লিজ প্রথার নামে প্রভাবশালীরা লিজ নেয়, সেখানে প্রান্তিক মানুষসহ কৃষকের পানির অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যদিকে বরেন্দ্র ডিপগুলো প্রভাবশালীরা গভীর নলকূপের অপারেটর হিসেবে নিয়োগ পায়। যার ফলে সঠিক সময়ে পানি না পাওয়া। পানির দাম বেশি নেয়াসহ নানা অনিয়ম দেখা দেয়। এগুলো দূর করতে হবে।
কর্মসূচি থেকে সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০০৯ পরিবর্তন করে কৃষক ও জনবান্ধব করা; খাস পুকুর দিঘি, জলাধার জলমহালগুলো স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া এবং বরেন্দ্র অঞ্চলের সকল প্রাকৃতিক জলাধারগুলো সংস্কার করারও জোর দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- কৃষক জাহেদুল ইসলাম, খায়রুল ইসলাম, সবুজ সংহতির সভাপতি নদী ও পরিবেশ গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী, আদিবাসী যুব নেত্রী সীমা মার্ডি, বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরামের যগ্ম সদস্য সচিব আতিকুর রহমান আতিক, কৃষক জিতেন্দ্রনাথসহ প্রমুখ। মানববন্ধন পরিচালনা করেন বারসিকের গবেষক শহিদুল ইসলাম। মানববন্ধন শেষে পাঁচদফা দাবিতে বিভাগীয় কমিশানারের মাধ্যমে কৃষি মন্ত্রণায়ের উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
আলোকিত/১২/১১/২০২৪/আকাশ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here