নতুন রূপে আসছে র‍্যাব: পরিবর্তন হচ্ছে নাম, লোগো ও পোশাক!

0
195

আলোকিত প্রতিবেদক

পরিচ্ছন্ন বাহিনী হিসাবে ঘুরে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‌্যাব। পুলিশ অধ্যাদেশের অধীনে প্রায় ২০ বছর ধরে চলে আসা বাহিনীটির নাম, লোগো ও পোশাকের পরিবর্তন আনার কাজ চলছে এখন। পাশাপাশি বাহিনীর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে আইনও প্রণয়ন করা হবে। র‌্যাবের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, র‌্যাব রাখারই কোনো যৌক্তিকতা নেই। র‌্যাবকে বিলুপ্ত করে দেওয়া উচিত। আবার কেউ বলছেন, সংস্কার করে আইনি কাঠামোর মধ্যে রেখে র‌্যাবকে পরিচালনা করা যেতে পারে।

 

নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলা থেকে শুরু করে কক্সবাজারের কথিত বন্দুকযুদ্ধে কাউন্সিলর একরামুল হকের নিহত হওয়া পর্যন্ত বহু বিতর্কিত ঘটনা এই বাহিনীটির খ্যাতিকে নষ্ট করেছে। এমন প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও বিশেষজ্ঞরা সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই দাবি আরও জোরালো হয়ে উঠেছে।

এদিকে গত ২৭ আগস্ট গুমসংক্রান্ত কমিশন গঠন করে সরকার। এই কমিশনের কাছে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে গুমের ঘটনার অভিযোগ জানানোর সুযোগ ছিল। ১৫ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত কমিশনে ১৬শ গুমের অভিযোগ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এসব অভিযোগের মধ্যে কমিশন ৪০০ অভিযোগ যাচাই করে। তার মধ্যে ১৭২টি গুমের অভিযোগে র‌্যাবের সংশ্লিষ্টতা পায়। এছাড়া সিটিটিসির বিরুদ্ধে ৩৭টি, ডিজিএফআইর বিরুদ্ধে ২৬টি, ডিবির বিরুদ্ধে ৫৫টি, পুলিশের বিরুদ্ধে ২৫টি ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায়। কমিশন সূত্র জানিয়েছে, র‌্যাবের বিরুদ্ধেই গুমের অভিযোগটা বেশি।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৯ বছরে ৪৬৭টি কথিত বন্দুকযুদ্ধে র‌্যাব সরাসরি জড়িত ছিল।

মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, একজন মানবাধিকারকর্মী হিসাবে আমি মনে করি র‌্যাবকে বিলুপ্ত করে দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। দেশে-বিদেশে বহু জায়গায় র্যাব বিলুপ্ত করার দাবি উঠেছে। তিনি বলেন, পলিটিক্যাল কমিটমেন্ট ঠিক না থাকলে সংস্কার করে কোনো কাজ হবে না।

র‌্যাবের লিগাল মিডিয়া উইংয়ের কমান্ডার লে. কর্নেল মুনিম ফেরদৌস বলেন, বাহিনীটির নাম, পোশাক এমনকি নিয়ম-কানুনেরও পরিবর্তন এবং সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতদিন র‌্যাব পুলিশ অধ্যাদেশের মাধ্যমে পরিচালিত হতো। ছিল না কোনো আইন। এখন র‌্যাবের জন্য একটি নতুন আইন প্রণয়নেরও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

র‌্যাবের একটি সূত্র জানায়, নতুন আইনের খসড়ায় বাহিনীর প্রশাসনিক ও অপারেশনাল কার্যক্রম, নিয়োগ, পদায়ন এবং শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই আইনে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, আসামি গ্রেফতার এবং অপরাধ তদন্তের ক্ষমতাও বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা হবে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here