মানিকগঞ্জে অতিরিক্ত দামে গাজরের বীজ বিক্রিতে ব্যবসায়ীদের পকেট গড়ম, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক

0
299

মো. মিজানুর রহমান খান কুদরত , মানিকগঞ্জ 

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে গাজর চাষে সুনাম রয়েছে দীর্ঘদিনের। বর্তমানে দেশের মোট গাজর চাষের ৩৪ শতাংশ চাষ হয় এ উপজেলায়। ফলে প্রতি বছর বিপুল বীজ প্রয়োজন হয় কৃষকদের। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে গাজরের বীজের ডিলাররা সিন্ডিকেট করে কৃষকদের কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্য থেকেও অধিক দাম নিচ্ছেন।

কৃষকদের অভিযোগ টাকি সীড (takii seed) গাজরের বীজের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে প্রতি কেজি বীজে সাড়ে ৩ হাজার টাকা থেকে শুরু করে প্রায় ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত দাম নিচ্ছে। বীজের সিন্ডিকেটের কারণে গাজর আবাদের আগ্রহ হারাচ্ছেন এখানকার চাষিরা। এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।

জানাগেছে, মানিকগঞ্জ জেলার মধ্যে একমাত্র সিংগাইর উপজেলায় সর্বাধিক গাজর আবাদ হয়। প্রতি বছর প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে গাজর আবাদ হয়। এ উপজেলার উৎপাদিত গাজর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হয়ে থাকে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট গাজরের বীজের অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন। ১ কেজি টাকি সীড(takii seed) গাজরের বীজের প্যাকেটের মূল্যে লেখা ২৩,০০০ টাকা তবে ডিলারদের কাছ থেকে কিনতে হচ্ছে ২৬,৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩৫,০০০ টাকা পর্যন্ত। এতে প্রতি কেজি গাজরে ৩ হাজার টাকা থেকে শুরু করে প্রায় ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে। এতে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় গাজর চাষিরা।

জয়মন্টপ এলাকার গাজর চাষি মোকসেদ আলী বলেন, ৪ বিঘা জমিতে গাজর আবাদ করেছি। গাজরের বীজের প্যাকেটে মূল্য লেখা ২৩,০০০ টাকা, কিনতে হয়েছে ২৬,৫০০ টাকা দিয়ে। ডিলার আবু বক্কর সিদ্দিক সিন্ডিকেট করে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে।

আজিমপুরের কৃষক রঞ্জিত বলেন, এবছর ৮ বিঘা জমিতে গাজর আবাদ করেছি। অতিরিক্ত দাম দিয়েও শেষে বীজ পাওয়া যায়নি। বীজ পাওয়া গেলে আরোও দুই বিঘা জমিতে গাজর আবাদ করতাম।

দেওলী গ্রামের চমক আলী বলেন, ডিলারদের কাছে বীজ চাইলে তারা বলেন বীজ নেই। আবার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত টাকা দিলে বীজ পাওয়া যায়। প্রায় সময়ই দোকান বন্ধ থাকে। বাধ্য হয়ে ১ কেজি বীজ ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি।

এ বিষয়ে কথা বলতে (ট্যাকি সীড) গাজর বীজের ডিলার আবু বক্কর সিদ্দিকের দোকানে গেলে দোকান বন্ধ পাওয়া যায়। তার মুঠোফোনে একাধিক বার কল করলেও ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, গাজরের বীজে নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত নেওয়ার সুযোগ নেই। যারা এই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি কোন ডিলার সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত থাকে প্রয়োজনে তার ডিলার বাতিল করা হবে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here