শীতে হাড় ভাঙার ঝুঁকি বাড়ে কেন, করণীয় কী!

0
153
অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশের আবহাওয়া শীতকাল বেশ আরামদায়ক। কিন্তু শীতে স্বাস্থ্যঝুঁকিও কম নয়। সর্দি-কাশি বা ফ্লু জাতীয় রোগ তো আছে বটেই, এ সময় ব্যাথ্যা ও হাড় ভাঙার ঝুঁক আরো বাড়ে।

অন্য ঋতুর তুলনায় শীতে কেন হাড় ভাঙার প্রবণতা বাড়ে?

হাড় ভাঙার ঝুঁকি বাড়ার কারণ-

ভিটামিন ডি-এর অভাব : শীতকালে সূর্যের আলো কম পাওয়া যায়। অথচ আমাদের শরীরের ভিটামিন ডি তৈরিই হয় সূর্যের আলো থেকে। ফলে শীতকালে শরীরে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ কমে যায়। ভিটামিন ডি হাড় শক্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শীতে এর অভাবে হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায় তখন। তাই অল্প আঘাতেই হাড় ভেঙে যাওয়ার আশংকা বাড়ে শীতকালে। দিনে কতটুকু হাঁটবেন, কেন হাঁটবেন, কীভাবে হাঁটবেন?

ঠান্ডা আবহাওয়া ও ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটি কমে যাওয়া : শীতকালের আরামাদায়ক আবহাওয়া কারণে  অনেকের ঘরে বসে থাকার প্রবণতা দেখান। এতে শরীরচর্চা বা শারীরিক কার্যক্রম কমে যায়। ফলে হাড়ের ঘনত্ব কমে যেতে পারে। তাই হাঁড় ভাঙার ঝুঁকিও এ সময় বাড়তে পারে।
 

জয়েন্টের সমস্যা : শীতল আর্থ্রাইটিস বা জয়েন্টের ব্যথা বেড়ে আশংকাজনক হারে বাড়ে। ফলে হাঁটাচলায় অসুবিধা হয় এবং পড়ে গিয়ে আঘাত পাওয়া ও হাড় ভাঙার আশংকা অনেক বেশি থাকে।

করণীয় কী?

ভিটামিন ডি নিশ্চিত করা: শীতে প্রতিদিন কিছুটা সময় সূর্যের আলোতে থাকার চেষ্টা করুন। এতে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ হবে অনেকটাই। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুণ। ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খান—যেমন, ডিমের কুসুম, মাছ, দুধ ইত্যাদি।

শরীরচর্চা চালিয়ে যাওয়া : নিয়মিত হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি করলে হাড় মজবুত থাকে তখন। তাই হাঁটার অভ্যাস ও শারিরিক কার্যক্রম চালিয়ে যান আপনারা। ঘরের ভেতরে জোরে হাঁটা বা যোগ ব্যায়ামের মতো হালকা ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটি করতে পারেন।

সাবধানতা অবলম্বন করুন : হাঁটার সময় ভালো মানের স্লিপ-প্রুফ জুতা পরুন। শিশির ভেজা জায়গায় বিশেষ করে পাথুরে পাহাড়ি এলাকায় সাবধানে হাঁটুন।

ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খা : ক্যলিসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার যেমন—দুধ, দই, পনির, বাদাম, শাকসবজি ইত্যাদি খাদ্য তালিকায় রাখুন সাথে। ক্যালসিয়ামের অভাব হাড়ের দুর্বলতা বাড়ায়। শীতে এটা আরও প্রকট হতে পারে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুণ।

বয়স্কদের জন্য বিশেষ সতর্কতা : ঘরে ভালোভাবে গরম রাখুন যাতে জয়েন্টের সমস্যা কম হয়। বাড়ির মেঝে শুকনো ও স্লিপ-প্রুফ রাখুন।  বয়স্কদের হাঁটাচলায় সমস্যা থাকলে, তাঁদের সাহায্য করুন।

 

চিকিৎসকের পরামর্শ নিন : যদি জয়েন্টের ব্যথা বাড়ে বা পড়ে গিয়ে আঘাত পান, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন আপনারা।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here