মোঃ আবদুল ওয়াদুদ : চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস. এম. মনিরুজ্জামান বলেছেন- আমদানি পণ্যের কনটেইনার পর্যাপ্ত হলে করাচি-চট্টগ্রাম রুটে ভবিষ্যতে নিয়মিত জাহাজ পরিচালনা করতে মালিকরা আগ্রহী। ইতিপূর্বে পাকিস্তানের সঙ্গে সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হতো। নতুন রুট চালু হওয়ায় বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। এতে সাশ্রয়ী ব্যয় ও সময়ে উভয় দেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে নতুনভাবে গতিশীলতা সৃষ্টি হবে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বন্দর হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বন্দর চেয়ারম্যান আরো বলেন, করাচি বন্দর থেকে লাইনার সার্ভিসের মাধ্যমে প্রথমবার গত ১১ নভেম্বর এইচআর শিপিং লাইনের অধীনে একটি জাহাজে ৩২৮ কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম আসে। এরপর ১২ নভেম্বর সেই কনটেইনার খালাস করে চট্টগ্রাম ত্যাগ করে। জাহাজটি মূলত দুবাইয়ের জেবল আলী বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে করাচি বন্দর হয়ে চট্টগ্রাম আসে। ওই জাহাজটির সাধারণ রাউন্টিং হচ্ছে দুবাই জেবল আলী- করাচি-চট্টগ্রাম-ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়া-মুন্দা (ভারত)-দুবাই।
তিনি সফলতার কথা উল্লেখ করে বলেন, গত তিন মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে ৮ লাখ ৩০ হাজার ৫৮২ টিইইউ’স কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। যা বিগত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭৬ হাজার ৯৮৬ টিইইউ’স বেশি। এতে প্রবৃদ্ধিও ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বন্দরের সদস্য মো. হাবিবুর রহমান, শহীদুল আলম ও কমডোর এম ফজলুর রহমান প্রমুখ।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি