শফিউল মন্ডল : তারাগঞ্জ -রংপুর প্রতিনিধি :রংপুরের তারাগঞ্জে জুসের বোতলের মধ্যে বিষ পানে হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামি সাবেক মাদ্রাসা শিক্ষক মো: দেলোয়ার হোসেন নামে একজন কে গ্রেফতার করেছেন তারাগঞ্জ থানা পুলিশ। তিনি তারাগঞ্জ থানাধীন পঞ্চায়েত পাড়া মদিনাতুল উলুম ক্বওমী মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক ছিলেন।
গতকাল ২১ শে নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল সারে ৪ ঘটিকার সময় তারাগঞ্জ থানার এস আই কনক রঞ্জন ও সঙ্গীয় এ এস আই মো: রায়হান সরকারের সহযোগিতায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার একটি রাস্তা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।গত ৩১ শে অক্টোবর তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের ডাঙাপাড়ার মদিনাতুল উলুম পঞ্চায়েত পাড়া ক্বওমী মাদ্রাসার পাশে একটি কবর স্হানে নির্জন কুপে জুসের বোতলের সহিত বিষ পানে ইমরান ও ইয়ামিন নামে দুই শিশু শিক্ষার্থী কে হত্যার চেষ্টা করেন এই শিক্ষক।
এই ঘটনায় গত ২ রা নভেম্বর ইমরান ও ইয়ামিনের বাবা যৌথ বাদী হয়ে ১৮৬০ সালের আইন অনুযায়ী পেনাল কোর্ট ৩৬৪/৩২৮/৩০৭ ধারায় অপহরণ করে বিষ পানে হত্যা চেষ্টায় তারাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।যাহার মামলা নং জি আর ০২।অভিযুক্ত শিক্ষক মো: দেলোয়ার হোসেন উক্ত থানাধীন সয়ার ইউনিয়নের দামোদরপুর দোলাপাড়ার মো: খলিলুর রহমানের ছেলে ছিলেন।
উক্ত ঘটনার প্রতক্ষদর্শী মোছা: বিউটি বেগম বলেছিলেন,ওইদিন ছাগল ও গরুকে পানি খাওয়ার জন্য পার্শ্ববতী কবরস্থানের দিক দিয়ে যাওয়ার সময় বাচ্চাদের গোঙানির ও কান্নার শব্দ পান।এদের দেখে অভিযুক্ত শিক্ষক ইয়ামিনকে পাশে হলুদ ক্ষেতে রেখে পালিয়ে যায়।পরে অসুস্থ শিশু দুটি কে উদ্ধার করে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।পরে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অসুস্থ শিশু দুটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।অবশেষে ১২ দিন চিকিৎসা শেষে শিশু দুটি সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেন।অনন্য শিক্ষকেরা বলেন,মুলত শিশু দুটি হত্যার উদ্দেশ্যেই শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন জুসের সাথে বিষ মিশিয়ে খাইয়েছিলেন।
এস এই কনক রঞ্জন বলেন, আসামি খুবই চালাক ও ধুরন্ধর ব্যক্তি। সে প্রতিদিনই তার লোকেশন পাল্টায়।অবশেষে আমরা তাকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধরতে সক্ষম হয়েছি।
তারাগঞ্জ থানার ওসি সাঈদুল ইসলাম বলেন,এই মামলাটি মুলত তারাগঞ্জ থানার একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা চেষ্টা মামলা।দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বিষ পানে হত্যা চেষ্টার প্রধান আসামি সেই মাদ্রাসা শিক্ষককে আমরা ধরতে সক্ষম হয়েছি।অনন্যা মামলার মতো আসামিকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি