মো. মিজানুর রহমান খান কুদরত: মানিকগঞ্জের নদ-নদী,খাল-বিল, পুকুর, ডোবা-নালায় ফুটেছে কচুরিপানা ফুল। এ ফুল ফুটে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুগ্ধতা বাড়িয়ে দিয়েছে। কচুরিপানার ফুলের নির্মল সৌন্দর্য প্রকৃতিতে যোগ করেছে নান্দনিকতা। তাই প্রকৃতি মেতেছে এখন অপরূপ নতুন রূপে। চোখ জুড়ানো অপরূপ দৃশ্যে মুগ্ধ হচ্ছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাসু মানুষেরা। প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া কচুরিপানা ফুলের অপরূপ সৌন্দর্যে যেন হারিয়ে যায় মন। পানির উপর বিছানো সারি সারি সবুজ পাতা আর ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্যে চোখ জুড়িয়ে যায়। দূর থেকে মনে হয় কেউ যেন সবুজ চাঁদরে ফুলের বিছানা পেতে রেখেছে।
সৌন্দর্যের পাপড়ি মেলে ধরা কচুরিপানা ফুলের এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনেকেই তুলছেন সেলফি-ছবি। ছবির ক্যানভাসে একই ফ্রেমে আবদ্ধ হচ্ছেন তরুণ-যুবকরা। খাল, বিল ও জলাশয়ে ফুল ফুটে সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা খাল-বিল কিংবা নদী-নালা থেকে শিশির ভেজা কচুরিপানার ফুল তুলে খেলা করছে। গ্রামের মেয়েরা কেউবা খোঁপায় বাঁধছে ফুল। চোখ জুড়ানো সবুজ পাতার মাঝে হালকা গোলাপি রংয়ের কচুরিপানা ফুলের উঁকি হৃদয় জুড়িয়ে দেয়। ফোটা ফুলের সঙ্গে কুঁড়িগুলো মাথা তুলেছে নতুন করে ফোটার আশায়।
সিমুলিয়া বিলে ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা রেশমি ভূঁইয়া, মিতু আক্তার, সোহান মিয়া বলেন, বিকেল হলেই আমরা বেরিয়ে পড়ি সৌন্দর্যের খোঁজে। বিলের মধ্যে ফুটে থাকা এমন সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়।
কচুরিপানা এক প্রকার ভাসমান জলজ উদ্ভিদ। বাংলাদেশের সকলের কাছে অতি সুপরিচিত। বর্ষাকালে অত্যধিক পরিমাণে জম্মায় ও দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে নদী -নালা,খাল-বিল, হাওর-বাওর, পুকুর-জলাশয় ভরে তুলে। এটি অবাধ ভাসমান গুচ্ছ ও নিচে থেকে একথোকা লম্বা গুচ্ছমূল, ওপরে খর্বিত কান্ডে একথোকা পাতা। পাতার বোঁটা খাটো পেটমোটা ও স্পঞ্জি। পাতা বেষ্ঠিত মঞ্জুরি ১৫-২০ সে.মি লম্বা ও দন্ডে থাকে ১০-১২ সে.মি লম্বা দৃষ্টিনন্দন ফুল। বাংলাদেশে কচুরিপানা একটি আগাছা। জম্মায় বদ্ধোজলাশয়ে ,খাল-বিল, ডোবা -নালাসহ সবত্রই।
দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রেজাউল হক জানান, কচুরিপানা খুব দ্রুত বংশ বিস্তার করে। আপাতদৃষ্টিতে ক্ষতিকর মনে হলেও কৃষিক্ষেত্রে এর যথেষ্ট উপকারিতা রয়েছে। কচুরিপানা থেকে এখন জৈব সারও তৈরি হয়। ফলে কৃষক ফসল উৎপাদনে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি