শিশুদের অপুষ্টি দূর করতে ওয়ার্ল্ড ভিশনের ‘এনাফ’ ক্যাম্পেইন শুরু 

0
167
শিশুদের অপুষ্টি দূর করতে ওয়ার্ল্ড ভিশনের 'এনাফ' ক্যাম্পেইন শুরু 
শিশুদের অপুষ্টি দূর করতে ওয়ার্ল্ড ভিশনের 'এনাফ' ক্যাম্পেইন শুরু 
আবু সায়েমঃ
শিশুদের ক্ষুধা ও অপুষ্টি দূর করতে নতুন ক্যাম্পেইন ‘এনাফ’  নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ। ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের স্বপ্নীল সিন্ধু হোটেলে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ভিশন অফিসিয়াল তথ্য মতে,  ক্ষুধা নিয়ে রাতে ঘুমাতে যায়  বাংলাদেশের এক চতুর্থাংশ শিশু। মানুষের চাহিদা অনুপাতে খাবারের জোগান যথেষ্ট থাকলেও অসমবন্টন আর বৈষম্যের ফলে চাহিদ মতো সবার খাদ্য জোটে না।
দ্বন্দ-সংঘাত, যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং করোনা মহামারীর কারনে সার বিশ্বেই দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতি। ফলে পৃথিবীর ইতিহাসে ঠিক এই সময়ে সবচেয়ে বেশী বেড়েছে খাদ্য অনিশ্চয়তা আর  ক্ষুধার সংকট। এনাফ বা পর্যাপ্ত খাবার আছে, তবুও সবাই পাচ্ছে না যথেষ্ট খাদ্য। এই বিষয়কে বিবেচনা করে শিশুর পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে  ENOUGH নামে বিশ্বব্যাপী একটি ক্যাম্পেইন শুরু করেছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন। তারই ধারবাহিকতায় বাংলাদেশেও ওয়ার্ল্ড ভিশন এই ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। বাংলাদেশেও প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে একজন ভুগছে পুষ্টিহীনতায়। ফলে শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ।
মতবিনিময় সভায় ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি, পুষ্টিকর খাদ্য বিতরণ এবং দীর্ঘমেয়াদী সমাধানে কাজ করার জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করে সাংবাদিকদের সামনে ক্যাম্পেইনের বিস্তারিত তুলে ধরেন ওয়ার্ল্ড ভিশনের ডেপুটি ডিরেক্টর ড. রাহুল ম্যাথিউ নিমাগাদা।
তিনি জানান, শিশুর অপুষ্টি-জনিত সমস্যা চিহ্নিত করা ও এর স্থানীয় সমাধানের লক্ষ্যে এখন বাংলাদেশের ২৮ জেলার ৮৮টি উপজেলায় কাজ করছে সংস্থাটি। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজির লক্ষ্য ২- ‘ক্ষুধা মুক্তি’ অর্জন করতে এনাফ ক্যাম্পেইনের ইউনিয়ন পরিষদে পুষ্টি ও স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বরাদ্দ, জেলা পর্যায়ে পুষ্টি মনিটরিং কার্যক্রম বেগবান করা এবং জাতীয় পর্যায় থেকে খাদ্যের সুষম বণ্টনের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় কক্সবাজারে ওয়ার্ল্ড ভিশনের রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স প্রোগ্রাম এর নতুন রেসপন্স ডিরেক্টর আসুন্থা চার্লস স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে কথা বলেন।
বিশ্বের কয়েকটি দেশে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে  আসুন্থা  চার্লস রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা কার্যক্রমের প্রকল্প বাস্তবায়নে সাংবাদিকদের সহায়তা ও পরামর্শ প্রত্যাশা করেন।
তিনি আরো বলেন,বাংলাদেশের ৪০ মিলিয়ন টন খাদ্য শস্য উৎপাদিত হয়। দেশের মোট চাহিদা হলো ৩০ থেকে ৩২ মিলিয়ন টন। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে, দেশের মানুষ প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিলিয়ন টন খাদ্য শস্য নষ্ট করে ফেলে। এ অপচয় বন্ধ হওয়া দরকার। এই উদ্দেশ্যে এনাফ ক্যাম্পেইন শুরু করা হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় কক্সবাজার জেলায় কর্মরত জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রায় ৪০ জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
উন্মুক্ত আলোচনা সভায় তারা বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান। বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারি, সিনিয়র সাংবাদিক মো: নুরুল ইসলাম,
দৈনিক বাঁকখালীর সম্পাদক  প্রকাশক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রতিদিনের কক্সবাজার প্রতিনিধি  ও দৈনিক হিমছড়ির সম্পাদক হাসানুর রশীদ।
আলোকিত প্রতিদিন/০৪ ডিসেম্বর-২৪/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here