মো: মহিদ আহমেদ: মানিকগঞ্জে মো. জসিম উদ্দিন (৩৬) চোখে দেখতে না পেলেও বাদাম বিক্রি করেই চালাচ্ছেন সংসার। স্ত্রী শিরিন আক্তারও বাকপ্রতিবন্ধি। ছেলে সিফাত ও মেয়ে জান্নাতি আক্তারকে নিয়ে কোনমতে দিনপার করছেন এই দম্পতি। তারপরেও করেন না ভিক্ষাবৃত্তি। ছোট বেলায় কিছুটা দেখতে পেলেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে হারিয়েছে পুরো দৃষ্টিশক্তি। কষ্ট করে হালাল রুজি উপার্জন করার এমনই এক অদম্য সাহসী মানুষের সন্ধান পাওয়া গেছে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের ঘোসাইনগর গ্রামে।
তিনভাই বোনের মধ্যে বড় জসিমের চিকিৎসার জন্য বাবা দুদু মিয়ার বিক্রি করতে হয়েছে একমাত্র মাথা গোজার বাড়িটিও। প্রতিদিন ৩কেজি করে বাদাম ভেজে দেয় স্ত্রী শিরিন আক্তার। সকালেই বাদামের ঝাকা মাথায় তুলে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসেন স্বামী জসিমকে। আর তা বিকেল পর্যন্ত শহরে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে ২০০ টাকা আয় করে কোনমতে টিকে আছে তারা।
এরই মধ্যে টাকার অভাবে গড়পাড়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলে সিফাতের পড়ালেখা বন্ধ করে গাড়ির মেকানিকের কাজ শিখতে হচ্ছে। আশা একদিন তার বাবা দেখবে এই দুনিয়ার আলো । আর পাঞ্জনখাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শেণীতে পড়ুয়া মেয়ে জান্নাতিকে কিভাবে মানুষ করবে সেই চিন্তাই বাবা মার।
যেখানে তার ভিক্ষা করে চলার কথা কিন্তু তার এমন সাহসীকতায় প্রশংসা করছেন গ্রামবাসীও। তাদের দাবি সরকারের পক্ষ থেকে যদি একটু সাহায্য করা হয় তাহলে একটু ভাল থাকতে পারবে জসিম ও তার পরিবার।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি