অপর আসামিরা হলেন—সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গাজী শাহাগীর হোসাইন, পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগম। মামলায় আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্মকেও আসামি করা হয়েছে। গত ১৫ ডিসেম্বর ব্যাংকের রিলেশনশিপ অফিসার সাহিবুর রহমান বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা দায়ের করেন তিনি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সাকিবের মালিকানাধীন অ্যাগ্রো ফার্ম ব্যবসায়িক উদ্দেশে বিভিন্ন সময় আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে ঋণ গ্রহণ করে। তার বিপরীতে দুটি চেক ইস্যু করে সাকিবের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি। এরপর দুটি চেক জমা দিয়ে তা থেকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তা ডিজঅনার হয়। দুই চেকে টাকার পরিমাণ প্রায় চার কোটি ১৫ লাখ টাকা।
চেক ডিজঅনার হওয়ার পর সাকিবের প্রতিষ্ঠানকে এবং সাকিবসহ চারজনকে পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য উকিল নোটিশ, লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হলেও তারা টাকা পরিশোধ করেননি। ব্যাংকের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে, তাদের ব্যাংক হিসেবে পর্যাপ্ত টাকা না থাকা সত্ত্বেও তারা চেক দিয়ে ব্যাংকের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন তারা।
এই আদেশের ফলে সাকিবসহ আসামিদের আদালতে উপস্থিত হতে হবে। নির্ধারিত তারিখে হাজির না হলে তাদের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিও করতে পারেন।
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও এখনো ওয়ানডে থেকে অবসর নেননি সাকিব আল হাসান। আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত এই সংস্করণের খেলা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল তাঁর। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই সম্ভাবনা আর নেই বললেই চলে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ যে একটিমাত্র ওয়ানডে সিরিজ খেলছে, তাতে সাকিবকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি