ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন ও সংখ্যালঘু ধারণায় বিশ্বাসী নই: ডা. শফিকুর রহমান

0
110
ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন ও সংখ্যালঘু ধারণায় বিশ্বাসী নই: ডা. শফিকুর রহমান
ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন ও সংখ্যালঘু ধারণায় বিশ্বাসী নই: ডা. শফিকুর রহমান

আলোকিত ডেস্ক:

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ধর্মের ভিত্তিতে জাতিকে বিভাজন ও সংখ্যালঘু ধারণায় আমরা বিশ্বাসী নই। ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজিত বা সংখ্যালঘু কনসেপ্টে বিশ্বাসী নই বরং আমরা সবাই বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক। সবাই মিলে দেশকে কল্যাণের রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। জামায়াতের এ সংগ্রামে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ সব ধর্মের মানুষের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

২০ ডিসেম্বর শুক্রবার রাতে রাজধানীর মিরপুর সেনপাড়া খ্রিষ্টান চার্চে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াত আয়োজিত খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য সাধারণ দেশ, ফুলের বাগান। কিছু হুতুমপ‌্যাঁচা আমাদের ফুলের বাগানে ঢুকে সবকিছু এলোমেলো করে দেওয়ার অপচেষ্টা করছে। এরা কোনো ধর্মের নয় বরং এরাই অপশক্তি। ধর্ম, বর্ণ এবং গোত্র নির্বিশেষে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশ ছোট একটি রাষ্ট্র। এ দেশে ১৮ কোটি মানুষের বসবাস। এখানে নানা ধর্ম এবং গোত্রের মানুষের বসবাস হলেও মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান প্রধানতম ধর্ম। সবার সঙ্গে মিলেমিশে চলা আমাদের ঐতিহাসিক ঐতিহ্য।

তিনি আরও বলেন, জামায়াতের লোকেরা চুরি, ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি, দুর্নীতি, লুটপাটসহ কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত নন। তারপরও আমরা মানুষ। আমাদের কোনো ভুল হলে তা ধরিয়ে দিলে আমরা সংশোধন করে নিব। দেশের সব নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা সবসময়ই আপোষহীন।

জামায়াত আমির বলেন, সৃষ্টি এক, স্রষ্টাও এক এবং অদ্বিতীয়। আকাশ থেকে বৃষ্টি হলে যেমন সব ধর্মের মানুষ সমানভাবে উপকৃত হই। তেমনি আবার কোনো বিপর্যয় হলেও সবাই সেই ক্ষতির সম্মুখিন হই। ধর্মীয় সংখ্যালঘু আখ্যা দিয়ে শ্রেণি বিশেষ মানুষের ওপর জুলুম করার অপচেষ্টা চালায়। জামায়াতে ইসলামী এ ধরনের সংকীর্ণতার সম্পূর্ণ ঊর্ধ্বে।

মূলত, দুই শ্রেণির মানুষের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা বেশি। একটি হলো সবচেয়ে উচ্চ শ্রেণি। এরা কলমের খোঁচায় মানুষের অধিকার কেড়ে নেন। আর অপর শ্রেণি হচ্ছে বস্তি। এদের হাতেই মাদক এবং অস্ত্র তুলে দিয়ে দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করা হয়। তাই এদের সম্পর্কে আমাদের শূন্য সহনশীলতা দেখাতে হবে। তিনি গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

মিরপুর ব্যাপটিস্ট চার্চের জ্যেষ্ঠ পালক-রেভারেন্ড মার্টিন অধিকারীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এবং মহানগরী সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, মিরপুর ব্যাপটিস্ট চার্চের সাধারণ সম্পাদক বাবুল কুমার সাহা, মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চের পালক রেভারেন্ড প্রিন্স কিরণ বাইনসহ সম্পাদক মনোজ বাড়ৈ, কোষাধ্যক্ষ অসিত মিত্র, ব্যাপ্টিস্ট চার্চ মহিলা কমিটির সভানেত্রী প্রভাতি ফলিয়া, সম্পাদক অনিমা বাড়ৈ প্রমুখ।

আলোকিত প্রতিদিন/২১ডিসেম্বর-২৪/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here