মানিকগঞ্জে নিম্নমানের সামগ্রীতে ইউনি ব্লকের রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ 

0
85
মানিকগঞ্জে নিম্নমানের সামগ্রীতে ইউনি ব্লকের রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ 
মানিকগঞ্জে নিম্নমানের সামগ্রীতে ইউনি ব্লকের রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ 
মো. মিজানুর রহমান খান কুদরত :
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার বেলতা রাস্তায় ইউনি ব্লকের নিম্নমানের সামগ্রী এবং দায়সাড়া কাজের অভিযোগ উঠেছে। রাস্তা নির্মাণকালেই খুলে পড়েছে ইউনি ব্লক। দায়সাড়া কাজ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চলে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিল পাবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
শিবালয় উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, কাতরাশিন তারা মসজিদ থেকে বেলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ১ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৩৮০ মিটার ইউনি ব্লকের রাস্তা নির্মাণের বরাদ্দ দেয়া হয়। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে জিওবি মেইনটেনেন্সের আওয়াতায় মেসার্স নাভা এন্টারপ্রাইজ কাজটি পায়। নির্দিষ্ট সময়ে কাজটি সম্পন্ন করতে না পারায় সময় বাড়ায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, নিম্নমানের বালু ব্যবহার ও রাস্তার দু’পাশে জায়গা না রাখায় এখনি ইউনি ব্লক খুলে পড়েছে। রাস্তার পাশে ঝুকিপূর্ণ কয়েক স্থানে গাইডওয়াল প্রয়োজন থাকলেও তা দেয়া হয়নি। এসব বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে এলাকাবাসী জানালেও কর্ণপাত করেনি। উল্টো হুমকি-দামকি দিয়েছে তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিডিউলে ২.২ এফএম বালু দেয়ার কথা থাকলেও ব্যবহার করা হয়েছে ভিটি বালু। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ব্লক খুলে পড়ে গেছে। মাটি ধরে রাখতে দায়সাড়াভাবে কয়েক স্থানে বাশ ও নেটের বাধ দেয়া হয়েছে। যা নির্মাণের কিছু দিনের মধ্যে ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। ব্লকের ফাঁকা স্থানে ঢালাই ছাড়াও খোয়া ও মাটি দিয়ে সমান্তরাল করা হয়েছে। ব্লক ধরে রাখতে দু’পাশের ব্লকে এক ইঞ্চি উচ থাকার কথা থাকলেও সেগুলো ব্লকের নিচে রয়েছে। আর সেসব স্থানে গাইডওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে তা রাস্তার সঙ্গে ঢালু করা হয়নি। বৃষ্টিসহ সাধারণ অবস্থায় রাস্তাটি ধ্বসে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্নাধিকারি মাকসুদ কাজীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে, সাইট ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম নিশাত জানান, প্রথমে ভিটি বালু ব্যবহার করা হয়েছিল। এখন ২.২ এফএম বালু ব্যবহার করা হচ্ছে। গাইডওয়াল গত বছর নির্মাণ করায় বৃষ্টিতে কিছু জায়গায় মাটি ধ্বসে গেছে। এখানে মাটি না পাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে রাস্তার দু পাশে শোল্ডার করা যাচ্ছে না। তবে, ব্লকের কাজ শেষ করেই মাটি দেয়া হবে।
শিবালয় উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, আমি রাস্তা পরিদর্শন করেছি। যদি কোন নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হয়ে থাকে। সেটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাজটি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিল দেওয়া হবে না।
এ ব্যাপারে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন বলেন, রাস্তাটি মানসম্পন্ন হচ্ছে বলে এলাকাবাসী আমার কাছে অভিযোগ করেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
আলোকিত প্রতিদিন/৩০ ডিসেম্বর-২৪/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here