আরিফুর রহমান,ছাতক (সুনামগঞ্জ) দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকায় বাংলাদেশ রেলওয়ে ছাতক কংক্রিট স্লিপার প্লানটেশন ও বিচ্ছিন্ন রেল যোগাযোগ নিয়ে নিউজ প্রকাশিত হওয়ার পর সরাসরি পরিদর্শনে গেলেন বাংলাদেশ রেলওয়ে মহা পরিচালক মোঃ আফজাল হোসেন। এ-সময় তিনি সাংবাদিকদের কাছে পরিকল্পনা ও স্লিপার প্লানটেশন নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, ছাতক কংক্রিট স্লিপার প্ল্যান্টে ১৫ হাজার স্লিপার উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল আনা হয়েছে। যদি ১৫ হাজার স্লিপার উৎপাদন করতে পারি তাহলে পরবর্তীতে আরও কাঁচামাল সংগ্রহ করে উৎপাদন বাড়ানো হবে। ছাতক-সিলেট রেললাইন সংস্কার ও চালুর বিষয়ে বলেন, সম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় রেললাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এটি সংস্কারের জন্য বিগত সরকারের আমলে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। ওই প্রকল্প প্রনয়ন ও অনুমোদন শেষে দরপত্রের মাধ্যমে অনুমোদন হয়েছে।

আশা করি আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে সংস্কার কাজ শুরু হবে। সংস্কার কাজ সম্পন্ন করতে দেড় বছর সময় লাগতে পারে। সংস্কার কাজ শেষ হলে চালু হবে ছাতক-সিলেট ট্রেন। বন্ধ থাকা ছাতক-ভোলাগঞ্জ রোপওয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি আপাতত চালুর কোন সম্ভাবনা নেই। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাথর পরিবহনে ভাড়া নিতে চাইলে দরপত্রের মাধ্যমে বিষয়টি কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করতে পারে। শুক্রবার বিকেলে ছাতকবাজার রেল স্টেশন ও কংক্রিট স্লিপার প্লান্ট পরিদর্শন এবং এটি চালুর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার মো. সুবক্তগীন পূর্বাঞ্চল (চট্রগ্রাম), রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ঢাকা), মোঃ আবু জাফর মিয়া, নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব, সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ মোঃ আজমাঈন মাহতাব, আবদুন নুর, আসাদুজ্জামান, সুরঞ্জন পুরকায়স্থ, মাহমুদ আলম, দিলোয়ার হোসেন, সেলু বড়ুয়া, লায়েক মিয়া, বায়জিত সোহেল, আমির হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, ফারহানা আলী, সম্পা রানী দাশসহ রেলওয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারিগন উপস্থিত ছিলেন।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি