হাছান মাহমুদের, দুর্নীতি অনুসন্ধানে মাঠে দুদক!

0
83

আলোকিত প্রতিবেদক: হাসিনা সরকারের তিনবারের মন্ত্রী ও আলোচিত-সমালোচিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ড. হাছান মাহমুদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, বিগত সরকারের মন্ত্রী হাছান মাহমুদের ‘অকল্পনীয় অবৈধ সম্পদ অর্জন’ এর অভিযোগ অনুসন্ধানে ৩১ ডিসেম্বর এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি যাদের বিরুদ্ধে তথ্য চেয়েছে সেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে- সাবেক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, তার স্ত্রী নুরান ফাতেমা, মেয়ে নাফিসা জুনাইনা মাহমুদ, ভাই এরশাদ মাহমুদ, খালেদ মাহমুদ, মোরশেদ মাহমুদ, রাসেল মাহমুদ, ড. হাছান মাহমুদের তিন ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) এমরুল করিম রাশেদ, মো. কায়সার ও গিয়াস উদ্দিন স্বপন, ড. হাছান মাহমুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস লিমিটেড, একাডেমি অব মেরিন এডুকেশন অ্যান্ড টেকনোলজি লি. বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস জে.এ.এস লিমিটেড, মেসার্স বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড হোল্ডিংস, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সোলার পাওয়ার লিমিটেড ও সুখী বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন।

এর বাইরে ড. হাছান মাহমুদের আত্মীয়স্বজন ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারেও অনুসন্ধানের জন্য তথ্য চাওয়া হয়েছে আজ। দুদক সূত্র জানায়, এসব তথ্য জানার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ দেশের সম্ভাব্য এলাকার সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে তথ্য চেয়ে দুদক থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

জানতে চাইলে অনুসন্ধান দলের নেতা ও দুদকের উপপরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এ ব্যাপারে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে সংক্ষুব্ধ যে কেউই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন এবং তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবেন। জানা গেছে, এর মধ্যেই দুদক দলের সদস্যরা ঢাকা, চট্টগ্রাম ও হাছান মাহমুদের নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান করেছেন তারা।

ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারেও খোঁজ নেওয়া হয়েছে। নগরীর দেওয়ান বাজার এলাকায় ১৮ তলা ভবন ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নগদ অর্থের সন্ধান পেয়েছেন তারা। তবে দুদক অনুসন্ধান দলের সদস্যদের ধারণা, বেশিরভাগ টাকাই বিদেশে পাচার করা হয়েছিল। ড. হাছান মাহমুদের ছোট ভাই মোরশেদ মাহমুদ দীর্ঘদিন ধরে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে আছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনিই হাছান মাহমুদের সব সম্পদ দেখভাল করছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশেও নিজ নামে সম্পদ না গড়ে বেশিরভাগই খালেদ মাহমুদ ও এরশাদ মাহমুদের নামে করা হয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here